আড়ানী পৌর নির্বাচনে আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে শতাধিক দোকান ভাংচুর-লুটপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী ও আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় আড়ানী পৌরবাজারের তালতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এতে এসময়  তালতলা বাজারের প্রায় শতাধিক দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এছাড়া প্রায় ৫টি মটরসাইকেলও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন অনেকে।  এরমধ্যে নৌকার প্রার্থী শহীদুজ্জামান শাহিদের সমর্থক তুষার আহমেদ, সোহান আহমেদ, ইসলাম ও লাটু হোসেন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তুষার আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহিদের ভাগ্নে । তাকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরবর্তীতে তারা উপজেলার আড়ানী পৌরসভায় তালতলা  এলাকার উওর দিকে  আ‘লীগ শহীদুজ্জামান শাহিদের সমর্থকেরা ও দক্ষিন দিকে বিদ্রোহী মেয়র মুক্তার আলীর সমর্থকেরা সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এলাকায় বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আবারও রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহীদুজ্জামান শাহিদের পথসভা ছিল। এসময় কাটাখালি পৌর সভার মেয়র আব্বাস আলী সহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও শহীদুজ্জামান শাহিদের সমর্থকেরা ছিলেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহীদুজ্জামান শাহিদের পথসভায় প্রায় শেষ মুহূর্তে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সশস্ত্র সমর্থক আকস্মিক হামলা চালান। এসময় মুক্তার আলীসহ তার সমর্থকরা গুলিবর্ষণ শুরু করেন এবং বোমা হামলা চালান। প্রাণের ভয়ে এসময় শাহিদের সমর্থকরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহীদুজ্জামামের সমর্থকদের অভিযোগ। তবে এ বিষয়ে মেয়র মুক্তার আলীর সমর্থকেরা মাইকিং করে জানান দেন যে তাদের গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ করে হামলা করে মেরে ফেলা হচ্ছে।
এদিকে, গত ৮ জানুয়ারি দুপুরে আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মুক্তারের সমর্থকরা মাছরাঙা টেলিভিশন রাজশাহীর ক্যামেরাপারসন মাহফুজুর রহমান রুবেল এবং দীপ্ত টিভির ক্যামেরাপারসন রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়।
উল্লেখ্য, মুক্তার বর্তমানে আড়ানী পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ কারণে তাকে আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ এবং দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর নির্বাচনে আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আড়ানী পৌর আ.লীগের সভাপতি শাহীদুজ্জামান শাহীদ।
স/অ