আশ্রয়ণের ঘর, আরও ৪০ হাজার পরিবারের মুখে হাসি

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
আজ বুধবার (২২ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ভূমি- চতুর্থ দফায় এসব ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই অনুষ্ঠান থেকে তিনি সাত জেলার (মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা) সব উপজেলাসহ সারাদেশের ১৫৯ উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন।

ইতিপূর্বে আরও দুই জেলার (পঞ্চগড় ও মাগুরা) সব উপজেলাসহ মোট ৫২ উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে এখন সর্বমোট ৯টি জেলা এবং ২১১টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে দুই শতক জমিসহ পাকা ঘর দিচ্ছে সরকার।

এর আগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে জমির মালিকানাসহ ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের ৪ মেয়াদে ১৯৯৭ সাল থেকে ২১ মার্চ ২০২৩ সাল পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

আশ্রয়ণ ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মাধ্যমে মোট পুনর্বাসন করা হয়েছে সাত লাখ ৭১ হাজার ৩০১ পরিবার। প্রতি পরিবারে গড়ে পাঁচ জন সদস্য ধরে হিসাব করলে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন।

উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্র, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ কেন্দ্র, বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বানারীপাড়া পৌরসভার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ কেন্দ্রে সংযুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

গণভবন থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

নয়াপাড়ায় ঈদ উৎসবের আমেজ

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়াপাড়ায় আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছে ১৪২ পরিবার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার। আশ্রয়ণের এ কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা যায় রোজার ঠিক আগে ঘর পাওয়া এসব মানুষের মুখে এখন ঈদের হাসি।

এখানে জমিসহ আশ্রয়ণের ঘরপাওয়া ৬৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ হানিফ বলেন, গত ১৫ বছর থেকে ভাড়া বাসায় আছি। বাকি জীবন রায়ত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি, তিনি যেন মানুষের আরও সেবা করতে পারেন।

হানিফ বলেন, আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই ঘর পাওয়া ঈদের চেয়ে বড় আনন্দের।