আল-আকসায় ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি নিয়ে যা বলল হামাস

বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলের আদালত এবার জেরুজালেমে মুসলিমদের পবিত্রতম মসজিদ আল-আকসায় ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছে। এই আদেশের জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করছে ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইবরাহীম ইশতাইয়া মসজিদের মর্যাদাগত অবস্থান বহাল রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পালনের জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানান।

বিষয়টি নিয়ে এবার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মসজিদুল আকসার ওপর ইসরায়েল নগ্ন আগ্রাসন চালিয়েছে এবং এর মাধ্যমে যুদ্ধের স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে। জেরুসালেমের মুফতি শেখ মুহাম্মদ হুসাইন এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের পদক্ষেপের ফলে সম্ভাব্য সহিংসতার শঙ্কা করেন।

এর আগে, গত বুধবার মসজিদুল আকসায় ইহুদিদের ‘নীরব প্রার্থনার’ অনুমতির বিতর্কিত ও ঐতিহাসিক এ রায় দেন জেরুজালেম ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক বিলহা ইয়াহালোম। এরপর জেরুজালেমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

রায়ে বলা হয়েছে, মসজিদটিতে ইহুদিদের প্রার্থনা করা কোনো অপরাধ বলে গণ্য করা হবে না। এ কারণে পুলিশ তাদের বাধা দিতে পারবে না। এদিকে, ১৯৪৮ সাল থেকে জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ আল-আকসার দেখভাল করে আসা জর্ডান এই রায়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির জেরুজালেম ইসলামিক ওয়াকফ এই রায়ের বিরোধীতা করেছেন।

উল্লেখ্য, আরিয়েহ লিপ্পো নামে এক ইহুদি ধর্ম যাজকের (রাব্বি) করা মামলায় এ আদেশ দেন ইসরায়েলের ওই আদালত। এর আগে, পবিত্র মসজিদ আল আক-আকসায় ইহুদি এই রাব্বিকে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদেই তিনি ইসরায়েলি আদালতের দারস্থ হন। বিচারক মামলার রায়ে ওই রাব্বিকে আল-আকসায় প্রবেশের এবং প্রার্থনার অনুমতি দেন।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন