আলুর কেজি ৪৫, রাজশাহীতে বেশিরভাগ সবজি ৪০ টাকার উপরে

নিজস্ব প্রতিবেদক:


বাজারে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। এটি সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি। তবে খুচরা-পাইকাররা বলছেন, বেশি দামে কিনে, বেশি দামে বিক্রি। বড় ব্যবসায়ীদের থেকে আলু কিনতে হচ্ছে ৪২-৪৩ টাকা দরে। তাই বিক্রি ৪৫ টাকায়। এছাড়া অন্যসব সবজির দাম কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। বন্যা আর বৃষ্টির কারণে সবজির ক্ষতি হওয়ায় আমদানি কম। এমন অজুহাত কাজে লাগিয়েছে ব্যবসায়ীরা বলছেন ক্রেতারা। তবে বাজারে ৪০ টাকার নিচে সবজি নেই বললেই চলে। শীতের নতুন সবজি হিসেবে সিম ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাজশাহী বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ী শাহিন জানান, আলুর প্রতিকেজি ৪৫ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শশা প্রতিকেজি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, সিম ৮০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, গজর ও টমেটো (আমদানিকৃত) ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচু ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাকরল ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অনেকটাই দাম কমেছে আদার। এদিন বাজারে আদা প্রতিকেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম পরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে। ঝাঁজ ছড়াচ্ছে কাঁচা মরিচ, বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।

ক্রেতা রমজান আলী বলেন, বাজারে ৪০ টাকার নিচে সবজি নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। করোনার এই সময়ে অনেক মানুষের কাছে টাকা নেই। বেশির ভাগ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের কাছে এতো দামে সবজি কিনে খাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। সরকারের এবিষয়ে নজর দেওয়া দরকার।

অন্যদিকে, কিছুটা দাম বেড়েছে মাছের। রাজশাহীর সাহেববাজারে পুকুর ও নদীর মাছের দাম প্রতিকেজি বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। তবে বিলের মাছ অল্প উঠলেও চাহিদা বিবেচনায় দাম একটু বেশি। ক্রেতারা বলছেন, ইলিশ মাছ বাজারে না থাকায় ব্যবসায়ীরা অন্য মাছের বেশি দাম ধরছেন।

নগরীর সাহেববাজারের মাছ বিক্রেতা আবদুল মোমিন জানান, বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২২০ টাকা দরে। এছাড়া মিরকা মাছ ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১৪০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতলা মাছ ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা, সিলভার মাছ ১৮০ থেকে ১৫০ টাকা, কই মাছ (চাষ) ১৬০ টাকা, মাগুর মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গ্লাসকাপ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, পাবদা (চাষ) ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নদীর চিংড়ি মাছ ৮০০ টাকা, কাটাপাতাশি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা, সোনালী মুরগি ১৮৫ টাকা, বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা।

স/আ