আ’লীগ কার্যালয় উদ্বোধনকালে কাদের গ্রুপের হামলা, সভাপতিসহ আহত ১০

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খিজির হায়াত খান জানান, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাকে মারধর করা হয়েছে।

সোমবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বরের উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা করা হয়।

কাদের মির্জার ভাগ্নে ও খিজির হায়াত গ্রুপের অন্যতম নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত বলেন, ‘সম্প্রতি মেয়র কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিরোধিতা করে আসছিল খিজির হায়াত খান। এই বিরোধের জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটান কাদের মির্জা। খিজির হায়াত খান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’

ফখরুল ইসলাম রাহাত বলেন, ‘কাদের মির্জা ও তার ছোট ভাই সাহাদাতের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা এই হামলা করেন। ওই সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ফরহাদ লিংকনকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়।’

খিজির হায়াত খান অভিযোগ করে বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একা অবস্থান করছিলাম। ওই সময় মেয়র কাদের মির্জা অফিসে এসে প্রথমে কলার ধরে আমাকে লাঞ্ছিত করে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা শতাধিক সমর্থক আমার কলার ধরে রাস্তার নিয়ে এসে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন।’

খিজির হায়াত খান বলেন, ‘আমাকে এমনভাবে পেটালেন যেন আমি একজন পকেটমার, চোর। এ সময় আমি থানা পুলিশকে জানালেও তারা আমাকে সহায়তা করেননি।’

কাদের মির্জার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অন্য এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে দাবি করেন, কাদের মির্জা কোনো হামলা করেননি। কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক রবিউল হক বলেন, সম্প্রতি মেয়র কাদের মির্জা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় বন্ধ করে দিলে খিজির হায়াত খানের নেতৃত্বে নতুন কার্যালয় নেওয়া হয়। যেটি পুরনো কার্যালয়ের পাশেই। আজ সেখানে মিলাদ হওয়ার কথা ছিল। খিজির হায়াত খান কয়েকজন লোক নিয়ে সেই কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মেয়র কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার ওপর হামলা করা হয় এবং তাকে মারধর করা হয়।

সূত্র:যুগান্তর