আম্পানে পূর্ব সুন্দরবনে ক্ষতি পৌনে ২ কোটি টাকা

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে পূর্ব সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছ বনবিভাগ। এতে ক্ষতির পরিমাণ দেখানো হয়েছে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা।

রিপোর্টে বলা হয়, সুন্দরবনের কটকাসহ বিভিন্ন অফিস ও জেটিসহ অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে বেশি। পুকুরগুলিতে লবণ পানি প্রবেশ করেছে। তবে বনে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়া গাছপালার তেমন ক্ষতি হয়নি।

দাখিলকৃত রিপোর্ট সোমবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পান সুন্দরবনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় উপকূলবাসী রক্ষা পেলেও বনের বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে গত ২১ মে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হকের নেতৃত্বে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি সুন্দরবন পরিদর্শন করে তিন দিনের মধ্যে বিভাগীয় দপ্তরে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন জানান, রিপোর্ট অনুযায়ী দুই রেঞ্জের জব্দকৃত বেশ কিছু সুন্দরী গাছের লট ভেসে গেছে। বিভিন্ন অফিস এলাকার গাছ উপড়ে পড়েছে। এ ছাড়া অবকাঠামোগত ১৮টি কাঠের জেটি, ১৭টি পুকুর, ১৬টি অফিস, ৮টি স্টাফ ব্যারাক, ২১টি সোলার, ১৬টি পানির ট্যাঙ্ক, পল্টুন একটি, ওয়াচ টাওয়ার একটি, ফুট ট্রেইল দুইটি, হরিণের শেড একটি, ডলফিনের শেড একটি ও দুটি গোলঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে শুধুমাত্র বনবিভাগের অফিস সংলগ্ন প্লান্টেশনের গাছ উপড়ে পড়া ছাড়া বনের প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া গাছের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

ডিএফও (পূর্ব) আরও জানান, এসব ক্ষয়ক্ষতি টাকার হিসাবে অবকাঠামোর ক্ষতির মূল্য এক কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকা, ভেসে যাওয়া লটের মূল্য পাঁচ লাখ ৭১ হাজার ৬০০, ২৬টি গাছের মূল্য এক লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ হিসাবে মোট এক কোটি ৬৮ লাখ ২৭ হাজার ৯০০ টাকা। ক্ষয়ক্ষতি এ রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন বরাদ্দ সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতি হওয়া অবকাঠামোগুলো মেরামত করা হবে বলে তিনি জানান।