আম্পানের তণ্ডবে চারঘাট-বাঘায় ব্যাপক ক্ষতি, আমের কেজি ৫০ পয়সা

মিজানুর রহমান, চারঘাট:
ঘুর্নিঝড় আম্পানের কবলে আমের রাজধানী রাজশাহীর চারঘাট-বাঘায় আমসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি পুষিয়ে উঠা অসম্ভব বলে দাবি আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের। ঝড়ে পড়া সেই আম বিক্রি হচ্ছে ৫০ পয়সা কেজি দরে। অনেকেই আবার আমের ব্যবসায় চালান ঘরে তোলা দুষ্কর হবে বলে জানান।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়ায় ঘুর্নিঝড় আম্পান বৃহস্পতিবার ভোর রাত পর্যন্ত চারঘাট-বাঘায় তান্ডব চালায় বিরতিহীন ভাবে। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে আম সংশ্লিষ্টরা।

এমনি মহামারি করোনায় আম নিয়ে চাষি ও ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তার পরে ঘুর্নিঝড় আম্পানের তান্ডব সব কিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। আর কয়দিন পরেই সব ধরনের আম পাড়া শুরু হবে। এরই মাঝে সব কিছূ শেষ করে দিলো। কিভাবে আমে লাগানো পুজি ঘরে তুলবো আল্লাহ পাকই জানেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রায়পুর এলাকার সরজমিনে গেলে সেখানকারী আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা এভাবেই তাদের কথা গুলো বলছিলেন।

কালুহাটি গ্রামের আম চাষি বীর বাহাদুর জানান, ঝড়ে আমসহ ভুট্টুা ও তিলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। যে আম বিক্রি হতো ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। সেই আম ঝড়ে পড়ে তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০ পয়সা কেজি দরে। আম কেনার লোকও পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি মহামারী করোনায় আম নিয়ে রয়েছে শংষয়। তার ওপর এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবার জীবনে বয়ে এনেছে কষ্টের হাড়ি। আম বাগানে যেতেই মন ভেঙ্গে পড়ছে। এভাবে কখনও ঝড়ে এমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।

বিষয়টি সম্পর্কে উপ-পরিচালক রাজশাহী কৃষি কর্মকর্তা শামসুল হক সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যা পুষিয়ে উঠা কঠিন হবে। তবে দুটি উপজেলায় গড়ে ১২% আমের ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ফসলের তেমন একটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এ দিকে ঝড়ে আমসহ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুত বিভাগ। বুধবার সন্ধ্যায় থেকে চারঘাট-বাঘা উপজেলা ছিলো বিদ্যুত বিহীন। কোথাও ছিলো না বিদ্যুত। তবে দুপুরের দিকে দুটি উপজেলার কিছু কিছুঁ এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ চালু করতে পারলেও অনেক এলাকা এখনো রয়েছে বিদ্যূত বিহীন অবস্থায়। এদুটি উপজেলায় বিদ্যুত চালু করতে অনেক দেরি হবে বলে দাবি বিদ্যুত বিভাগের।

বিষয়টি সম্পর্কে নাটোর পল্লী বিদ্যূত সমিতি-২ এর চারঘাট জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপক মুক্তার হোসেন বলেন, বিদ্যূতের মেইন লাইনের উপর গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় অনেক এলাকায় এখনো ব্দ্যিুত চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই চেষ্টা করছি সব এলঅকায় বিদ্যুত সচল করতে।

সার্বিক বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষয-ক্ষতি হয়েছে। তবে ঘরবাড়ীসহ ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি।

স/অ

আরো পড়ুন …

চারঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত এক