সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
উচ্চ দ্রব্যমূল্যের কারণে ক্রেতা হিসেবে নিজেও চাপে আছেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, বাজারে আমন ধান এলে চালের দাম কমবে। গতকাল বৃহস্পতিবার খাদ্য ভবনে এক বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় খাদ্যসচিব ও খাদ্য অধিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘আমি আপনাদের মতো মধ্যবিত্ত। আমি নিজেই বাজার করি, চাপে আছি। শীতকালীন সবজি অকালীন বৃষ্টির জন্য মার খেয়েছে। সেটাও দ্রুতই ওঠা শুরু করবে বলে আশা করছি।
যে বদ্ধ জলাশয়গুলো আছে, শীতকালে সেখান থেকে মাছ সংগ্রহ বাড়ে। সে ক্ষেত্রে ডিম ও মুরগির ওপর চাপটা কমবে। সব কিছুর দাম কিছুটা কমবে বলে আমার মনে হচ্ছে।’
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে চালের দাম যতটুকু বেড়েছিল, তা আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে।
আমি আশা করছি, আমন ধান মার্কেটে আসা শুরু করলে দাম একটু কমতে শুরু করবে। চলতি বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান সংগ্রহ করা হবে। এ বছর সাড়ে পাঁচ লাখ টন চাল, সাড়ে তিন লাখ টন ধান এবং এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর চাল কেনা হয়েছিল প্রতি কেজি ৪৪ টাকা, এবার তিন টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকায়।
আর ধান সংগ্রহ করা হয়েছিল ৩০ টাকা কেজি, এবার ৩৩ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার আমদানি করা হবে দেড় লাখ টন ধান ও গম। ফলে বলা যায়, বাজারে আমন ধান এলে চালের দাম কমতে শুরু করবে।’
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, খাদ্য নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না সরকার। তাই দেশের চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ বাড়াতে এরই মধ্যে চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর প্রভাবও পড়বে দামে। এবার বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আমন মৌসুমে ৩৩ টাকা দরে সাড়ে তিন লাখ টন ধান এবং ৪৭ টাকা দরে সাড়ে পাঁচ লাখ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করবে সরকার। এ ছাড়া ৪৬ টাকা দরে এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। ১৭ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান ও সিদ্ধ চাল, আর আতপ চাল ২০২৫ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হবে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ