আমার প্রচণ্ড লজ্জা লাগছে: তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মামুনুল হকসহ যেসব নেতৃবৃন্দ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে এবং হেফাজতে ইসলামের যে নেতারা তাদের সমর্থন করেন তাদের কেমন লাগছে জানি না, কিন্তু মামুনুল হককে নিয়ে গতকালের ঘটনাপ্রবাহে আমার প্রচণ্ড লজ্জা লাগছে।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি দেশের নাগরিক এবং একজন মুসলমান হিসেবে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানাবো, নিজেকে আলেম হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভণ্ড লেবাস ধরে যারা ইসলামকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে, নানা ফতোয়া দেয়, গরম গরম বক্তৃতা দেয়, আর নিজের জীবন ইসলাম সম্মতভাবে পরিচালনা করে না, সেই সব নষ্ট এবং ভণ্ড নেতৃত্বকে বর্জন করুন।

মন্ত্রী আরও বলেন, যখন হেফাজতের ব্যানারে মানুষের ঘর-বাড়ি জ্বালানো হচ্ছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম-নারায়ণগঞ্জে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে, নিপুন রায় টেলিফোন করে তার কর্মীকে বাসে আগুন দিতে বলে আর গয়েশ্বর রায় সেটাকে সমর্থন দেয় তখন বুঝতে হবে, এটা ইসলামকে রক্ষা বা হেফাজতের জন্য নয়, নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিষয়েও নয়, বরং ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্যই এসব।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ সময় ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা প্রসঙ্গে বলেন, দেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে, ক্যাবল নেটওয়ার্ক সিস্টেমকেও ডিজিটাল হতে হবে। কারণ এটি না হলে, গ্রাহকরা ঠিক সেবা পাচ্ছে না, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সরকারও ঠিক রাজস্ব পাচ্ছে না।

বিশেষ কিছু ব্যক্তিবর্গের হাতে এই নেটওয়ার্ক কুক্ষিগত থাকতে পারে না উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, দেখা গেছে একেকজন কেবল নেটওয়ার্ক লাইসেন্সধারী লক্ষ লক্ষ সংযোগ দিয়েছেন, কিন্তু হিসেবের খাতায় দুই-দশ হাজার দেখাচ্ছেন। মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করবে, যিনি যে এলাকার জন্য লাইসেন্স পেয়েছেন সেই এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন, সেজন্য প্রয়োজনে আমরা কোর্ট পরিচালনা করবো।

নবায়ন না করার ফলে ইতোমধ্যেই ১২শ’ লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে আত্মপ্রকাশের শর্তে নতুন অপারেটররা লাইসেন্স পাবেন।

অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স-এটকো’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, ক্যাবল অপারেটর প্রতিনিধিদের মধ্যে এস এম আনোয়ার পারভেজ, এবিএম সাইফুল হোসেন, মোহাম্মদ নাজমুদ্দোহা, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কোয়াব প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তফা জামাল হায়দার এবং মন্ত্রণালয় ও বিটিভি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।

সূত্র:যুগান্তর