বুধবার , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

আমরা চাই না আর কোনো রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ হোক: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

Paris
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪ ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, কত সংখ্যক নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে জানে না সরকার। তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এরপর তাদের নিয়ে ভাববে সরকার।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতিসংঘ ও দেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেন, কিছু কিছু রোহিঙ্গা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে। আমরা চাই না আর কোনো রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ হোক। নতুন-পুরাতন সকল রোহিঙ্গার দ্রুত প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্র মতে, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৪ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে যান।

সেখানে ডব্লিউএফপি পরিচালিত ই-ভাউচার আউটলেট কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। ওই সময় প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা ই-ভাউচার কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফিং করেন। পরে তিনি রোহিঙ্গাদের রেশন উত্তোলন কার্যক্রম ও বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট থেকে বেলা ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত তিনি ৪ নম্বর ক্যাম্পের সাব ব্লকের এ/৫ এর হোপ উইমেন হাসপাতালে অবস্থান করেন।

ওই সময় তিনি হাসপাতালের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করেন সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা নেন। উপদেষ্টা হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। ওই সময় উপদেষ্টা কোনো ধরনের বৈষম্য না করে সবাই মিলে প্রত্যেক স্তরের মানুষকে উত্তম সেবা দেওয়ার আহবান জানান।

বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম ৫ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে ইউএনএইচসিআরের অর্থায়নে এনজিও ফোরাম পরিচালিত সেলফ রিলায়েন্স এন্ড লাইভহুড প্রজেক্ট পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।

পরে তিনি রোহিঙ্গা নারীদের পাটের তৈরি ব্যাগ ও ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন দ্রব্য পর্যবেক্ষণ করেন। ওই প্রতিষ্ঠানে তৈরি দ্রব্যাদি বিদেশে রপ্তানির ব্যাপারে সেখানকার কর্মকর্তারা উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন।

রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বেলা সাড়ে ১২টায় ৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে সিআইসি কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে রোহিঙ্গা মাঝি, মৌলভী ও নারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ওই সময় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

পরে উপদেষ্টা একই কনফারেন্স রুমে বেলা ১২টা ৫০ মিনিট থেকে বেলা ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত রোহিঙ্গা শিবিরে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এই আলোচনা শেষে বেলা দেড়টার দিকে তিনি বড়ইতলী চেকপোস্ট হয়ে রোহিঙ্গা শিবির ত্যাগ করে কক্সবাজার শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

উপদেষ্টার সঙ্গে এসব কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মো. কামরুল হাসান, একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসান সারওয়ার, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং রোহিঙ্গা শিবিরে দায়িত্বরত ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল ও ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. আমির জাফর।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়