‘আমরাও ছাত্রাবস্থায় ভিসির বাসভবনের সামনে ধর্মঘট করেছি’

সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বরেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান এবং সন্তানের মতো। তাদের দাবিদাওয়ার প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল। আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন নানা দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছি। ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট আমরাও করেছি।

কিন্তু আমরা কখনো বাড়ির বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি নাই।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আজকে শুনলাম ভিসির বাংলোতে পানি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ভিসির জন্য খাবার পাঠানো হয়েছিল সে খাবারও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জেলখানার কয়েদীরাও খাবার পায়, পানি পায়। খাবার বন্ধ করে দেওয়া, ভিসির বাংলো কিংবা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া বা কেটে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা এগুলো আন্দোলনের অংশ হতে পারে না এগুলো প্রতিহিংসামূলক।

তিনি বলেন, আমি ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ জানাব, রাজনৈতিক ক্রীড়ানক হিসেবে তাদেরকে যেন কেউ ব্যবহার না করে। আমি আশা করবো এর একটি যৌক্তিক সমাধান হবে।

ইসি গঠন আইনের খসড়া নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান যা দেশের সর্বোচ্চ আইন, সেখানে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা আছে। যদিও পঞ্চাশ বছরে সেই আইন হয়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে বসেছিলেন এবং বেশিরভাগ দলই বলেছিল সংবিধান অনুযায়ী একটি আইনের মাধ্যমে যাতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা, মিছিল, টকশো এবং অন্যান্য জায়গায় তারা বলেছিলো আইন করতে সময় লাগে না। দু’দিনেই করা যায়, দেশে অনেক কিছুই প্রয়োজনের নিরিখে হয়েছে। আর এটি রাষ্ট্রের প্রয়োজনে। এজন্য তারাই আইন করতে তাগিদ দিয়েছিলেন। কিন্তু আজকে যখন আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তখন বিএনপি বিরোধিতা করছে। আইন কিন্তু এখনো হয়নি, প্রস্তাবনাটি কেবল সংসদে উঠেছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেছে, বৈঠকশেষে আইনমন্ত্রী, সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিফ করেছেন, বিএনপির প্রতিনিধিদের পক্ষেও ব্রিফ করা হয়েছে এবং আইনের খসড়ায় তারা যে সংশোধনীগুলো প্রস্তাব করেছিলেন তার অনেক কিছুই গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটি বলেছে। অর্থাৎ সবাইকে সাথে নিয়ে পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন করা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন গঠনের দায়িত্ব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে দিলেই কেবল বিএনপি খুশি হবে, অন্যথায় নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ