বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় চিকিৎসকসহ দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যপক ডা. সোহেল মাহমুদ ও চকবাজার মডেল থানার কনস্টেবল মো. দস্তগীর হোসেন।
আজ সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে তিনি এ সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলার মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
এদিকে কারাগারে আটক ২২ আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়। তারপর তাদের উপস্থিতি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর দুজন সাক্ষীর জবানবন্দি শেষ হলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। জেরা শেষ হলে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ৫ অক্টোবর এ মামলার বাদী ও আবরারের বাবা বরকতুল্লাহর আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে ২৫ আসামিকে অভিযুক্ত করেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ হত্যা মামলা করেন।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ