আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে কাতার

আফগানিস্তানে কাতার যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে। এ বিষয়ে দেশ দুটি একমত হয়েছে। নাম প্রকাশে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি তালেবানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে।

গত আগস্টে সেনা প্রত্যাহারের মুখে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। ১৫ আগস্ট প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বিদেশে পালিয়ে গেলে তালেবান প্রেসিডেন্ট প্যালেস দখল করে নেয়। এই ঘটনার দুই সপ্তাহ পর তারা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব সম্প্রদায় বিভিন্ন অভেোগ তুলে তালেবান সরকারকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি।

আফগানিস্তানে বর্তমান অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিতে শুরু করেছে। আসন্ন শীতে এই অবস্থা  ভয়াবহ আকার ধারন করবে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা আফগানিস্তানে ভয়াবহ অবস্থার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে।

এই অবস্থার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো তালেবানের সঙ্গে কী উপায়ে যুক্ত হওয়া যায় তা নিয়ে ভাবছে। মানবিক বিপর্যয় রোধে তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা প্রয়োজন বলে স্বীকার করছে তারা।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন শুক্রবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে তারা তালেবানের সঙ্গে কূটনীতিকভাবে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেবেন।

আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর এই চুক্তি কার্যকর হবে। আফগানিস্তানে কাতারের কিছু কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কার্যক্রম দেখভাল করবেন। তারা সীমিত পরিসরে কনুস্যুলেট সেবা প্রদান করবেন। এরমধ্যে থাকবে পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ, জরুরি সহায়তা প্রদান, তথ্য প্রদান করা ইত্যাদি।

 

সূত্রঃ যুগান্তর