সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হারলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অলিখিত ফাইনালে। দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সিরিজে সমতা আনার এই নায়ককেই তৃতীয় ম্যাচে পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
গত শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে কুঁচকিতে চোট পান। সেই চোটই কাল হয়ে দাঁড়ালো। কাল রাতে এমআরই করানো হয়েছে শান্তকে। আজ সকালে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তৃতীয় ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শান্তর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
আজ সোমবার বিকেল চারটায় শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হচ্ছে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচেই আঙুলে চোট পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এরপর সিরিজের বাকি দুই ম্যাচের জন্য ছিটকে যান তিনি। এবার শান্তর এই খবরে বাংলাদেশের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ২৩৫ রানে আটকে দিয়েও ৯২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৪৩ রানেই অলআউট হয় টাইগাররা। সেই ম্যাচেও দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন শান্ত। তার ৬৮ বলের ইনিংসটি ছিল ৪টি চার ও ২ ছক্কায় সাজানো।
বাঁচা-মরার দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শান্ত। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান করে বাংলাদেশ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নেমে ১১৯ বলে ৭৬ রান করে আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৬টি চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ছিল এই ইনিংস। স্ট্রাইকরেট মাত্র ৬৩.৮৬ হলেও পিচ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় এই রান ছিল মহামূল্যবান। তাইতো ব্যাট হাতে ২৪ বলে ২৫ ও বল হাতে ২৮ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেওয়ার পরও নাসুম ম্যাচসেরা হতে পারেননি। তাই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বাছাই করা হয় শান্তকে।
এদিকে, গতকালই শান্তকে অধিনায়ক করে ঘোষণা করা হয়েছে দুই টেস্টের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ১৫ সদস্যের দল। তবে চোটের কারণে কয়েক সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে শান্তকে। সেই হিসেবে আগামী ২২ নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে যে তিনি খেলতে পারছেন না, সেটি মোটামুটি নিশ্চিত।