আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোতে অস্ত্র কেনার হিড়িক!

তালেবান দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র আর হেলিকপ্টার কেনার অর্ডার পেয়েছে রাশিয়া।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান রোসোবোরোনেক্সপোর্টের প্রধান আলেকজান্ডার মিখিভ ২৬ আগস্ট  এক সংবাদ সংস্থাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা রাশিয়ান হেলিকপ্টার, আগ্নেয়াস্ত্র আর সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার আধুনিক বিভিন্ন সরঞ্জামের প্রচুর অর্ডার পেয়েছি।

সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে ওই সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের প্রতিবেশি দেশগুলো নিজেদের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্যই অস্ত্রের মজুদ বাড়াচ্ছে।

তবে রাশিয়া অবশ্য তালেবানের ক্ষমতা দখলকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে।  যদিও শরণার্থীর ছদ্মবেশে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে জঙ্গির অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া।

এদিকে, চলতি মাসের শুরুর দিকে আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া করেছে উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তান।

এছাড়া মস্কো নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট সম্মিলিত নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থার (সিএসটিও) সদস্যদের নিয়ে আগামী ৭ থেকে ৯ নভেম্বর তিনদিন কিরগিজস্তানে সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের শরণার্থী পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ২২ লাখ আফগান নাগরিক পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। দেশের মধ্যেই বাস্তুচ্যূত হয়েছেন ৩৫ লাখের বেশি মানুষ।

তবে বেশির ভাগ মানুষই প্রচলিত সীমান্তগুলো দিয়ে আফগানিস্তান ছাড়াতে পারেনি বলে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।

এদিকে  মরিয়া আফগান নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য কোনো কোনো দেশ নিজেদের দেশের দরজা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আবার কোনো কোনো দেশ শরণার্থীদের ঠেকাতে সীমান্তে তুলে দিয়েছে কাঁটাতারের বেড়া।

কোনো কোনো দেশ আবার ঝুঁকিতে থাকা আফগান নাগরিকদের জন্য চালু করেছে বিশেষ ভিসা প্রোগ্রাম।

ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ আফগান নাগরিকদের আশ্রয় দিচ্ছে।

তবে ২০১৫ সাল থেকে ইউরোপের দেশগুলো শরণার্থীদের ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।

এর মধ্যে নতুন করে আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার মতো অবস্থা নেই বলে জানিয়েছে তুরস্ক, গ্রিস, অস্ট্রিয়াসহ কয়েকটি দেশ।

এমনকি তুরস্ক আর গ্রিস আফগান শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া এবং দেয়াল তুলে দিয়েছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর