আদিত্যকে বিয়ে, যেভাবে শ্বেতার মন গলল

গত ১ ডিসেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আদিত্য নারায়ণ ও শ্বেতা আগারওয়াল। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সম্পর্কে আবদ্ধ থাকার পর অবশেষে নিজেদের সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

২০১০ সালে তাঁদের অভিষেক ছবি ‘শাপিত’এর শ্য়ুটিংয়ে গিয়ে আদিত্য়র সঙ্গে শ্বেতার প্রথম পরিচয় হয়। প্রথম দিকে বহুবার শ্বেতার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন আদিত্য। প্রথম দিকে নাকি একাধিক বার প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। আর বার বার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন শ্বেতা।

প্রথমদিকে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আদিত্যর কথায়, শ্বেতা তাঁর লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট ছিল। এরপরই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই সেই মেয়ে যাঁর সঙ্গে তিনি জীবন কাটাতে চান। তখনই ঠিক করেছিলেন, এই মেয়ের সঙ্গেই সম্পর্কে যাবেন।

আদিত্যর প্রেমে নাকি সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিলেন তাঁর মা দীপা। কিউপিডের ভূমিকায় তাঁদের প্রেম সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহাস্য করেছিলেন দীপা, জানিয়েছেন আদিত্য। আদিত্য আরো জানান, শুরুর দিকে, কখনও মিষ্টি করে, কখনও ঘুরিয়ে নানা ভাবে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন শ্বেতা।

আদিত্যর জানান, তাঁর প্রেমে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিলেন তাঁর মা দীপা। তিনি বলেন, ‘আসলে আমার ধন্য়বাদ বলা উচিত মা-কে। মা বলেছিল, পরের বার শ্বেতার সঙ্গে দেখা হলে আমায় একবার বলিস’। এরপর ধীরে ধীরে তাঁরা ডেটিং শুরু করেন।

১১ বছরের পুরোনো বান্ধবী শ্বেতাকে বিয়ে করেন গায়ক উদিত নারায়ণের ছেলে আদিত্য। তাও বাবার জন্মদিনেই বিয়ে করলেন আদিত্য। মুম্বাইয়ের জুহুতে একটি ইস্কনের মন্দিরে বিয়ে করেন আদিত্য ও শ্বেতা।

গত ১০ বছর ধরে লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিল আদিত্য-শ্বেতা। এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান গায়ক উদিত নারায়ণ। ১০ বছরের লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকলেও নিজেদের সম্পর্কের ব্যাপারে কোনওদিন কাউকে জানতে দেননি আদিত্য-শ্বেতা। বিয়ের পর কাশ্মীরে হানিমুনে গিয়েছিলেন তাঁরা।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান আইডল ১২-এর ফ্যামিলি এপিসোডে সপরিবারে হাজির হন হোস্ট আদিত্য নারায়ণ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গায়ক উদিত নারায়ণ, দীপা নারায়ণ ও শ্বেতা আগারওয়াল।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ