আত্মসম্মানে আঘাত পেলেন কামরান আকমল

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) নিলাম হয়ে গেল রোববার। নিলামে ড্রাফটের তালিকায় শীর্ষ ক্যাটাগরি ‘প্লাটিনাম’ শ্রেণিতে ছিলেন কামরান আকমল।

সেখান থেকে প্রথমে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয় ‘গোল্ড’ শ্রেণিতে। এরপর তাকে নামিয়ে দেওয়া হয় ‘সিলভার’ শ্রেণি তথা সবচেয়ে নিচের শ্রেণিতে। আর এই সিলভার ক্যাটাগরিতেই তাকে দলে রেখে দিয়েছে তার আগের দল পেশোয়ার জালমি।

পিএসএল নিলামে এভাবে অপমান করায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের সাবেক তারকা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কামরান আকমল।

ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে কামরান আকমল বলেছেন, সত্যিই ব্রিবতকর ব্যাপার। একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে এ রকম ব্যবহারের কোনো মানে হয় না। লিগে আমি যত রান করেছি, এরপর আমার এ রকম অপমান প্রাপ্য নয়।

পিএসএলের রেকর্ডের পাতায় কামরান আকমলের নাম জ্বলজ্বল করছে। টি-টোয়েন্টি এ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের রেকর্ড সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেন কামরান আকমল। টুর্নামেন্টে ৬৯ ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮২০ রান সংগ্রহ করেন তিনি। স্ট্রাইক রেটও বেশ ভালো ১৩৬.৮৪। উইকেটকিপারদের মধ্যে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৬০টি ডিসমিসাল দার। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। এমন রেকর্ডের পরও অপমান করায় সহ্য করতে পারছেন না কামরান আকমল।

অবশ্য কামরান আকমলের বয়স হয়েছে ৩৯ বছর। পাকিস্তান জাতীয় দলে সবশেষ খেলেছেন ২০১৭ সালের এপ্রিলে। এবারের পিএসএলের আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) খেলোয়াড়দের শ্রেণিবিন্যাস নতুন করে করায় এমন সমস্যা হয়েছে।

রোববার পিএসএল নিলাম শেষে পেশোয়ার জালমির কোচ ও পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্টবোলার ওয়াসিম আকরাম বলেন, কামরানের জন্য আমাদের ভালোবাসা সব সময়ই একই রকমের। ও শুধু পাকিস্তান জাতীয় দলকেই সেবা দেয়নি, গত ছয় বছরে পিএসএলের ভক্তদেরও বিনোদন দিয়েছে। ওর সঙ্গে আগে একবার আমার কথা হয়েছে। ওকে জানিয়েছিলাম যে আমরা যদি ওকে সিলভার শ্রেণি থেকেও দলে নেই, তবু ওকে দলের পরামর্শক বানিয়ে গোল্ড শ্রেণির অর্থই দেওয়া হবে।

ওয়াসিম আকরাম আরও বলেন, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু বদলে যায়। আমাদের বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে হবে। তবে কাগজে-কলমে তো ও সব সময়ই দলের সঙ্গে আছে। এত বছর ধরে ও আমাদের মূল খেলোয়াড়দের একজন। আশা করি, ওকে আগামী বছরেও আমাদের হয়ে খেলতে রাজি করাতে পারব। তবে দিন শেষে সিদ্ধান্তটা তো একজন খেলোয়াড়ের নিজের। তারা পেশাদার, তারা যেখানে খুশি, সেখানেই খেলতে পারে।