মঙ্গলবার , ৮ অক্টোবর ২০২৪ | ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত নওগাঁর কৃষকরা

Paris
অক্টোবর ৮, ২০২৪ ১:১৮ অপরাহ্ণ

 

নওগাঁ প্রতিনিধি:

ধান-চাল, আম এবং সবজিতে সমৃদ্ধ উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁ। এই জেলার মাঠে মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক চাষিরা। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পর জমির মাটিতে রস জমে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগাম সবজি চাষে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকের। ইতিমধ্যে এসব সবজি বাজারের অনেকটা চাহিদা পূরণ করতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা।

এ বিষয়ে চকবালুভরা গ্রামের সবজিচাষি সেলিম উদ্দিন বলেন, ভালো দামের আশায় আগাম এই শীতকালীন সবজিগুলো চাষ করা হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে কয়েক দফা বৃষ্টিতে জমিতে রস পেয়ে সবজির চেহারা অনেক সুন্দর হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সবজির বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, খরিপ দুই মৌসুমে জেলায় মোট ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম শীতকালীন শাকসবজির জন্য ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর। এখন পর্যন্ত অর্জন হয়েছে প্রায় ১ হাজার হেক্টর। সবজি চারা রোপণের ঠিক আগ মুহূর্তে বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে সময়মতো জো এসেছে। এ বছর আবহাওয়াও অনুকূলে রয়েছে। এখন সময়মতো রোপণ করতে পারলেই ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পেয়েও কৃষকরা লাভবান হবে বলে তিনি আশা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, পুরো জেলায় এ বছর যে পরিমাণ জমিতে আগাম শীতকালীন শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা ইতিমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে। পুরো জেলায় ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। জেলায় এখন পর্যন্ত আগাম শাকসবজি রোপণ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে। এসব জমিতে এখন পর্যন্ত যেসব শাকসবজি রোপণ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে শীতকালীন আগাম সবজি আলু, সিম, করলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, লালশাক, পুঁইশাক, পালংশাকসহ খরিপ দুই মৌসুমের আগাম শীতকালীন শাকসবজি।

সরেজমিন জেলার চকগৌরি, হাপানিয়া, বর্ষাইল, কীর্তিপুর বক্তারপুরসহ বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে চাষিদের সবজি চাষের ব্যস্ততা। প্রতিদিন সকাল থেকে মাঠে মাঠে কৃষকরা তাদের জমিতে সবজি চাষের জন্য কাজ শুরু করছেন। কেউ জমিতে হাল-মই দিচ্ছেন, কেউ জমির আগছা পরিষ্কার করছেন, আবার কেউ সবজির বেড তৈরির কাজ করছেন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। সারা দিন জমি প্রস্তুতের পর বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বীজ বপন করছেন কেউ। আবার কেউ সবজিকে পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। সব মিলিয়ে চরম ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটছে চাষিদের সময়।

সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামের সবজিচাষি রুবেল হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজি হিসেবে কপি চাষ করেছি তিন বিঘা জমিতে। আগাম জাতের এসব সবজি চাষ করতে প্রতি বিঘাতে হাল-মই, চারা রোপণ, বেড তৈরি, জমি নিরানি, পানি সেচ, সার এবং কীটনাশক বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এ বছর বৃষ্টির কারণে এখন পর্যন্ত প্রতি বিঘা জমিতে সেচ খরচ কমেছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ টাকা। দাম ভালো পেলে ভালো লাভের আশা করছেন এই কৃষক।

সদর উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের সবজিচাষি আনিসার রহমান বলেন, আগাম শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপির চারা কয়েক দিন আগেই ১৫ কাঠা জমিতে রোপণ করেছি। প্রায় তিন বিঘা জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করার আশা আছে। সব জমি আগেই প্রস্তুত করে রেখেছি। দুদিন আগের বৃষ্টিতে প্রায় সব জমি বীজ বপনের উপযুক্ত হয়েছে। প্রায় প্রতিটি জমির মাটিতে রস জমেছে। এতে করে আমার সেচ খরচ আর করতে হবে না। এখন জমি একটু নিরানি দিয়ে সার দেব। তারপর চারা রোপণ করব।

সর্বশেষ - কৃষি