আগামী সপ্তাহে ভারতে ভেন্টিলেটর পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আগামী সপ্তাহে ভারতে ভেন্টিলেটর পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম দফায় ১শ ভেন্টিলটর পাঠানো হবে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

সম্প্রতি দু’জনের মধ্যে নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। সে সময় ভারতকে অনুদান দেওয়া ভেন্টিলেটর চলতি সপ্তাহেই পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, এই দুই শীর্ষ নেতা জি-৭ সম্মেলন, কোভিড-১৯ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, আগামী সপ্তাহে ভারতে প্রথম দফায় একশ ভেন্টিলেটর পাঠানোর ঘোষণা দিতে পেরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প খুবই উচ্ছ্বসিত।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি কয়েক দফা টুইট করে জানিয়েছেন যে, তার ‘বন্ধু’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উষ্ণ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

এমন এক সময় যুক্তরাষ্ট্র ভারতে ভেন্টিলেটর পাঠাচ্ছে যখন ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ভারতে ইতোমধ্যেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমেরিকা ভারতকে ভেন্টিলেটর অনুদান হিসেবে দিচ্ছে। এই মহামারিতে আমরা ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে আছি। ভ্যাক্সিন তৈরির ক্ষেত্রেও আমরা সাহায্য করব। আমরা একসঙ্গে অদৃশ্য এই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হব।

করোনায় রোগীর ফুসফুস কাজ করতে না পারলে ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হয়। এর মাধ্যমে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে রোগী কিছুটা সময় পান।

নানা ধরনের ভেন্টিলেশন যন্ত্র দিয়ে এই কাজটা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রায় ৮০ শতাংশ করোনা রোগী হাসপাতালের চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে ওঠেন।

কিন্তু প্রতি ছয়জন রোগীর মধ্যে একজন গুরুতরভাবে অসুস্থ হতে পারেন এবং তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ সময় যান্ত্রিক ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা হয়। এটি চাপ দিয়ে ফুসফুসে বাতাস ঢোকায় এবং দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ