আক্রমণাত্মক মানসিকতায় জোর মাহমুদউল্লাহর

নিউ জিল্যান্ডে কখনও তাদের বিপক্ষে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবার কি সেই দৃশ্যপট পাল্টাবে? সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন নিউ জিল্যান্ডে। তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বিশ্বাস করেন, নিজেদের বেসিক ক্রিকেট খেলতে পারলে এবং আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে নামলে সিরিজে ভালো করা সম্ভব, জয় নামের সোনার হরিণও ধরা দিতে পারে যে কোনও সময়।

নিউ জিল্যান্ডে সব মিলিয়ে ২৬ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে ৯ টেস্ট, ১৩ ওয়ানডে এবং ৪ টি-টোয়েন্টি। নিউ জিল্যান্ডে ভালো না করতে পারার পেছনে সবচেয়ে বড় বাধা কন্ডিশন। মাহমুদউল্লাহ জানিয়ে রাখলেন, এবারও কাজটা সহজ হবে না। এই অলরাউন্ডার বললেন, ‘আমরা সবাই জানি, নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশন সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং এবং আমাদের জন্য কোনোকিছুই এত সহজ হবে না। আমাদের দল হয়ে ভালো পারফর্ম করতে হবে। সেটা তিন বিভাগেই। তাহলে ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব হবে।’

২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডে শতক পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তার প্রথম টেস্ট শতকও কিউইদের মাটিতে। সবশেষ সফরেও পেয়েছিলেন তিন অঙ্কের দেখা। তার ক্যারিয়ারের গড় যেখানে ৩১.১৫, সেখানে নিউ জিল্যান্ডে গড় ৩৪.৬৯। প্রতিকূল কন্ডিশনে নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উইকেটটা বোঝার চেষ্টা করি। উইকেটের বাউন্সের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। এসব উইকেটে বাউন্সটা বরাবরই থাকে। বাউন্স এবং গতি কেমন থাকে, উইকেটে গিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় এটাই চেষ্টা করি এবং বাজে বলের অপেক্ষা করি। আমার কাছে মনে হয়, বেসিক ক্রিকেটটা গুরুত্বপূর্ণ।  এই কাজগুলো যদি ঠিকমতো করতে পারি, তাহলে ভালো  ফল আসবে।’

নিউ জিল্যান্ড এখন দুর্দান্ত ফর্মে। অস্ট্রেলিয়াকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষেও তারা জিতেছে। স্বাগতিকদের শক্তি ও ফর্ম সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা রয়েছে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের। তবে সেসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে খেলায় মনোযোগ দেওয়ার কথা জানালেন মাহমুদউল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘নিউ জিল্যান্ড দল এখন খুব ভালো ফর্মে আছে। তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, এ জিনিসগুলো মাথায় না এনে বরং আমরা আমাদের শক্তির দিকগুলোতে মনোযোগী হতে পারি। তাহলে আমাদের খেলার জন্যও ভালো হবে এবং আমি মনে করি আমাদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার মানসিকতা থাকলে আমরা ভালো করবো।’