২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরেই বাজিমাত করে দেখিয়েছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। শোয়েব আখতার, শহিদ আফ্রিদি, সোহেল তানভির কিংবা শোয়েব মালিক- প্রতিটি ক্রিকেটারই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেকিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে ২০০৯ সাল থেকেই আইপিএলে নিষিদ্ধ হয়ে যায় পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।
২০০৯ সাল থেকে শুরু করে সর্বশেষ ১১টি আইপিএল আসরে উপস্থিতি নেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। পৃথিবীর প্রতিটি দেশের ক্রিকেটারদের অন্তর্ভূক্ত করা হয় নিলামে। দলেও নেয়া হয়; কিন্তু টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানে থাকার পরও পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা জায়গা পান না ভারতের ঘরোয়া ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে।
শুধু আইপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সুযোগ না দেয়াই নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের ক্রিকেট সম্পর্কও বন্ধ রেখেছে ভারত। দীর্ঘদিন যাবত দু’দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আদান-প্রদান বন্ধ। আইসিসির টুর্নামেন্ট কিংবা এশিয়া কাপছাড়া আর দেখাই হয় না দুই দেশের।
সমর্থকদের পক্ষ থেকে দাবি থাকলেও আইপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) কখনো অনুরোধ জানাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান এহসান মানি।
করোনাভাইরাসের কারণে এবারের আইপিএল অনুষ্ঠিত হচ্ছে আরব আমিরাতে। ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে আইপিএলের ১৩তম আসরের। তার আগেই আইপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে মন্তব্য করলেন এহসান মানি। তিনি মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো না হওয়া পর্যন্ত দ্বি-পাক্ষিক ক্রিকেটীয় সম্পর্কও ঠিক হবে না।’
এহসান মানি বলেন, ‘গত কয়েক বছর পিসিবি চেষ্টা করে যাচ্ছে বিসিসিআই’র সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক ক্রিকেটীয় সম্পর্ক পূণরায় চালু করার বিষয়ে। সেটা হোক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কিংবা অন্য যে কোনো ফরম্যাটে। কিন্তু তারা রাজি নয়। এখন সম্পূর্ণ বিষয়গুলো বিসিসিআই’র হাতে। এ কারণে, এই মুহূর্তে আমার কোনো ইচ্ছাই নেই ভারতের মাটিতে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কোনো টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার বিষয়ে। প্রথমত, আমাদের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হতে হবে। এরপরই আমরা আলোচনা করতে পারবো।’
একই সঙ্গে আইসিসির প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন এহসান মানি, এই ব্যাপারে যে- আইসিসি যেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকাণ্ডের দিকে একটু নজর দেয়। কারণ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে পুরোপুরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি বিসিসিআইর সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ নিয়ে আর কথা বলছি না। এটা এখন সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। তারা যদি কিছু বলতে চায়, তাহলে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। এছাড়া আইসিসির গঠনতন্ত্রই বলে দিচ্ছে, কোনো বোর্ডের ওপর সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না। সুতরাং, আমি মনে করি আইসিসির উচিৎ হবে, বিসিসিআইর দিকে এ বিষয়ে নজর দেয়া।’