আইনজীবীর ফি দিচ্ছেন না ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার আইনজীবী রুডি জুলিয়ানির ফি দিচ্ছেন না। নির্বাচনে কারচুপি-জালিয়াতির ভিত্তিহীন অভিযোগে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে যত ভুয়া মামলা হয়- তার সবকিছুই মূলত তদারকি করতেন জুলিয়ানি। এমনকি ট্রাম্প হোয়াইট হাউসকে নির্দেশ দিয়েছেন, জুলিয়ানির ফি যাতে দেওয়া না হয় এবং একই সঙ্গে তার ফোনও যেন ধরা না হয়।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে বলেছে, ট্রাম্প যখনই জানতে পেরেছেন, আইনগত সেবার জন্য জুলিয়ানি দিনে ২০ হাজার ডলার ফি ধরেছেন, তখনই তিনি খেপে গেছেন। অথচ এমন আইনগত ফি প্রদানের কথা নাকি লিখিত চুক্তিতে আছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

একসময় দাপটের সঙ্গে নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জুলিয়ানি। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। ভালোবেসে মানুষ তাকে আমেরিকার মেয়র হিসেবে উপাধি প্রদান করেন। তবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহচর্যে এসে সমালোচনা কুড়ান জুলিয়ানি। পুরোনো বন্ধু ট্রাম্পের পাশে দাঁড়ান তিনি, দেন নানা আইনি সহায়তা। নির্বাচনের আগে জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে অপরাধের খোঁজ করাসহ ট্রাম্পের হয়ে নানা চতুর চালের নেপথ্যের কারিগর ছিলেন জুলিয়ানি। এসব কারণে তার পেশাগত অসততা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাকে দেশটির আইনজীবী পরিষদ থেকে বাদ দেওয়ারও দাবি জানানো হচ্ছে।

আদালতে একের পর এক ভুয়া মামলার আরজি ও তার শুনানির জন্য জুলিয়ানি ছুটে গেছেন, পেনসিলভানিয়া থেকে মিশিগানে, জর্জিয়া থেকে উইসকনসিনে। ছোটাছুটির একপর্যায়ে জুলিয়ানি নিজে ও তার ছেলে করোনায়ও আক্রান্ত হন। ট্রাম্পের শেষ দিকের সব বেপরোয়া আচরণের বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন জুলিয়ানি। ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাম্পের সঙ্গে একেবারে আঠার মতো লেগে ছিলেন তিনি। তারপরই দুজনের সম্পর্কে নেমে এলো এমন শীতলতা।

গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের সমর্থকদের সভায় উসকানিমূলক বক্তৃতা দেন জুলিয়ানি। সেদিনের সেই হামলায় পাঁচজন নিহত হন। আহত হন অনেকে। বর্তমানে হামলা, ভাঙচুর, লুটতরাজ, অপরাধ পরিকল্পনার ঘটনা তদন্ত করছে এফবিআই। ইন্ধনদাতা হিসেবে ট্রাম্প ও জুলিয়ানির নাম আসতে পারে। এমন হলে তাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ