সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
এককালে তিনি আইএস জঙ্গিদের যৌনদাসী ছিলেন। উত্তর ইরাকের সেই নাদিয়া মুরাদ এবার জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হলেন। দুনিয়ায় মানব পাচারের সমস্যা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করবেন তিনি।
২০১৪ সালে উত্তর ইরাকে সংখ্যালঘু ইয়াজিদিদের গ্রামগুলো দখল করে আইএস জঙ্গিরা। নাদিয়ার বয়স তখন ১৯। মুসলিম নন বলে গ্রামের পুরুষদের নির্বিচারে খুন করে জঙ্গিরা। নাদিয়ার চোখের সামনেই খুন হন তার বাবা ও ভাই। মহিলারা যৌনদাসীতে পরিণত হন। এর পর চলে মারধর আর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ।
৩ মাস এই বন্দি জীবন কাটিয়েছিলেন নাদিয়া। তার মধ্যে বহুবার ধর্ষিত হন। একবার পালাতে গিয়েছিলেন। ধরা পড়ার পর ৬ জঙ্গি তাঁকে ধর্ষণ করে। জ্ঞান হারানো পর্যন্ত চলে অত্যাচার। পরের বার অবশ্য সফল হয়েছিলেন নাদিয়া। পালিয়ে জার্মানি চলে যান। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলে। আপাতত নাদিয়া এবং তাঁর মতো নিগৃহীতাদের হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা লড়ছেন আমাল ক্লুনি।সূত্র: আজকাল