অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান কিনবে সরকার

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

সরাসরি প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ২২টি উপজেলা থেকে এ ধান কেনা হবে।কৃষক প্রতি কেজি বোরো ধানের দাম পাবেন ২৬ টাকা।

এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে সোমবার খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। যে ২২ জেলার প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে চিঠিতে তাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

ওই জেলাগুলা হচ্ছে-ঢাকার সভার উপজেলা এবং গাজীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, ভোলা, নওগাঁ, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা (সদর দক্ষিণ) এবং বরিশাল সদর।

গত আমন মৌসুমে দেশের ৭ বিভাগের ১৬ উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনে সরকার।

এরই ধারাবাহিকতায় বোরো মৌসুমে ৬৪ জেলার সদর উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে ধান এবং ১৬ উপজেলায় (যেসব উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে আমন সংগ্রহ করা হয়েছিল) মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।

কিন্তু বাধ সেধেছে মহামারী করোনাভাইরাস। এই ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন থাকায় সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এখন ২২টি উপজেলা থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।‘ডিজিটাল খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা ও কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে এই ধান সংগ্রহ করা হবে।

চলতি বোরো মৌসুমে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

৩৬ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজিতে ৬ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনা হবে।

কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন ও ধান সরবরাহের আবেদনের জন্য ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছিল। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নিবন্ধনের সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

অ্যাপে যেভাবে ধান বিক্রি করবেন কৃষক

অ্যাপে ধান বিক্রি করতে একজন কৃষককে তার ফোনে ‘কৃষকের অ্যাপ’ডাউনলোড করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

কৃষকের স্মার্টফোন না থাকলে ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্রে গিয়ে তিনি এ সেবা নিতে পারবেন। ধানের নাম, জমির পরিমাণ, কী পরিমাণ ধান বিক্রি করতে চান- এসব তথ্য জানিয়ে ওই অ্যাপের মাধ্যমে সরকারের কাছে ধান বিক্রির আবেদন করবেন কৃষক।

এরপর নিবন্ধন, বরাদ্দের আদেশ ও দাম পরিশোধের সনদসহ তথ্য এবং ধান বিক্রির জন্য কবে কোন গুদামে যেতে হবে, সেসব তথ্য এসএমএসে কৃষককে জানিয়ে দেয়া হবে।

আবেদনকারী বেশি হলে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে ধান কেনা হবে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর