অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে জার্মানির দ্বিধায় জেলেনস্কির অসন্তোষ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

জার্মানির বিমানঘাঁটিতে পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা শুরুর আগে আধুনিক ট্যাংক সরবরাহ করার জন্য বার্লিনের কাছে সরাসরি আবেদন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবারই এ আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে রণাঙ্গনে সাফল্য পেতে আধুনিক ট্যাংকসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র প্রয়োজন তাদের।

জার্মানির পাবলিক টিভিতে প্রচারিত এক সাক্ষাত্কারে ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের কাছে যদি লেপার্ড-২ ট্যাংক থাকে, তাহলে সেগুলো আমাদের দিন।’

যুক্তরাষ্ট্র এবং কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইউক্রেনকে রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করতে আরো অস্ত্র-সরঞ্জাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গত বৃহস্পতিবার। তবে অন্যান্য সহায়তা দিয়ে এলেও এখনো ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি জার্মানি। ট্যাংক সরবরাহ নিয়ে বার্লিনের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে মিত্র অন্য পশ্চিমা দেশগুলো। এর মধ্যেই আলোচনার জন্য জার্মানির রামস্টেইন বিমানঘাঁটিতে সমবেত হন ৫০টি দেশের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।

ট্যাংক সরবরাহ নিয়ে জার্মান সরকারের দ্বিধাগ্রস্ত মনোভাবের সমালোচনা করে জেলেনস্কি বলেন, ‘এই লেপার্ডগুলো (ট্যাংক) আক্রমণের জন্য রাশিয়ার ভূখণ্ডে যাবে না। আমরা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই তা চাইছি।’

গত সপ্তাহে জার্মানি ইউক্রেনে লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর বিষয়ে শর্ত জুড়ে দেয়। সে শর্ত হলো, যুক্তরাষ্ট্রকেও তাদের আব্রামস ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাতে হবে। কিন্তু সে ট্যাংকগুলো পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র অনিচ্ছুক। কারণ ব্যাখ্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক শীর্ষ জেনারেল ডেভিড পেট্রাউস বলেন, আব্রামস ট্যাংক পাঠানোর বিষয়ে ওয়াশিংটনের ‘যৌক্তিক অনিচ্ছা’ রয়েছে, কারণ এটি পরিচালনা করা কঠিন।

এরপর গত বৃহস্পতিবার বার্লিন জানায়, লেপার্ড ট্যাংক পাঠানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। বারবার জার্মান সরকারের এই দ্বিধাগ্রস্ত মনোভাবের সমালোচনা করেছেন জেলেনস্কি। দেশটির টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দেন, ট্যাংক সরবরাহ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি পরস্পরের দিকে তাকিয়ে আছে।

এ বিষয়ে জেলেনস্কি মন্তব্য করেন, ‘আমি মনে করি না এটা সঠিক কৌশল।’ গতকালের বৈঠকে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের প্রায় ১১ মাস হতে চলেছে। পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর কর্মকর্তারা মনে করেন, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তলব করা রিজার্ভ সেনাদের প্রশিক্ষণ শেষ হলে নতুন উদ্যমে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। অন্যদিকে পূর্ব রণাঙ্গনে দুই পক্ষের বাহিনীর মধ্যে কেউই এ মুহূর্তে তেমন সুবিধা করতে পারছে না।

সূত্র: কালের কণ্ঠ