অস্ত্র মামলায় সাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ

অস্ত্র আইনে করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর সাহেদের আইনজীবীও যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। সাহেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় রবিবার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘সন্দেহাতীতভাবে মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।  এ মামলার আসামি সাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন চাই।’ তিনি বলেন, ‘আগামী রবিবার এ মামলার আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হবে। আশা করছি, চলতি মাসেই এ মামলার রায় হবে।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি প্রমাণ করতে পারেনি। যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে অবশ্যই আমরা ন্যায়বিচার পাব। আসামি সাহেদ এ মামলায় খালাস পাবেন।’

এদিকে, গতকাল বুধবার আদালতে অস্ত্র আইনে করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন সাহেদ। এ সময় আদালত তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি সাফাই সাক্ষী দেবেন কি-না। উত্তরে সাহেদ বলেন, ‘আমি সাফাই সাক্ষী দেব না।’ আদালত জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি দোষী না নির্দোষ?’ জবাবে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাহেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

গত ২৭ আগস্ট সাহেদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। ১৯ আগস্ট মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াত মামলার অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর মামলার নথি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করেন।

এর আগে ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় গত ২৬ জুলাই তাঁকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর গত ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযানে যায় ডিবি পুলিশ। সেখান থেকে সাহেদের গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ