নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাখিটির আকার ছোট। কিন্তু অসাধারণ সুন্দর একটি পাখি। যার বংলা নাম ‘ছোট পানচিল’ (Littlt Tern)। রাজশাহীর পদ্মায় বছরের এই সময়টাতে ওদের আগমন ঘটে। এরা খুবই সাবধানী পাখি। মানুষের আনা-গোনা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। তাই মানুষ দেখলেই টুপ করে উড়ে পালাই এরা। একটু ছোট শব্দেও এদের আতঙ্কের কমতি থাকে না।
ফলে এদের ছবি তোলা বা কাছ থেকে দেখা একটু কষ্টকরই হয়ে ওঠে পাখিপ্রেমীদের। তার পরেও এই পরিজায়ী পাখিটির ছবি তুলেছেন রাজশাহীর সৌখিন ফটোগ্রাফার অনিক মাহমুদ ইমন। ইমনের পাখির ছবি তোলায় হলো অন্যতম নেশা। তিনিই ‘ছোট পানচিল’র ছবি ক্যামেরায় ধারণ করে সেগুলো সরবরাহ করেছেন।
ইমন জানান, এই পাখির ছবি সংগ্রহের জন্য তাঁকে গত ১৩ এপ্রিল নৌকাযোগে যেতে হয় রাজশাহীর পদ্মার চরে। এর পরে অল্প পানিতে নেমে ছোট পানচিলের ছবি ধারণ করতে হয়। পাখির ছবি তোলার সময় পাখি যেন বিরক্ত না হয় সেই দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হয়।
এজন্য একদম পানিতে শুয়ে শুধুমাত্র ক্যামেরাটা উচুঁ করে ধরে ছবি তুলতে হয়। এর পর কিছুক্ষণের মধ্যেই জোড়ায় জোড়ায় ছোট পানচিল এসে হাজির হয় ক্যামেরার কিছু দূরে নদীর বুকে জেগে থাকা ছোট একটা চরে। এই পাখির একটি ছোট টার্ন আছে। এর পাতলা তীক্ষè বিলটি কালো টিপের সাথে হলুদ এবং এর পাগুলিও হলুদ। শীতকালে, কপালটি আরও বিস্তৃতভাবে সাদা হয়।
পুরুষ পাখিগুলো পানিতে ছো মেরে মাছ শিকার করে এবং পাড়ে এসে স্ত্রী পাখিকে খাওয়ায়। পুরুষ পাখির দ্বারা স্ত্রী পাখিকে মাছ খাওয়ানো কোর্টশিপ প্রদর্শনের অংশ। জোড়ায় জোড়ায় পাখিরা এই মাছ খাওয়ানো নিয়ে ব্যস্ত সয় পার করতে থাকে। এদের মধ্যে কেউ আবার আস্তে আস্তে পানিতে নেমে গোসল করতেও থাকে। এদের মাছ খাওয়ানো এবং গোসল করার দৃশ্য সত্যিই অসাধারন।
ছবি তোলার সময় কিছু ফটোগ্রাফার বেপরোয়া হয়ে পাখিকে বিরক্ত করে। যেখানে ছবি তুলে ধুমপান করে, সিগারেট ফেলে আসে, চিপস, বিস্কুট খেয়ে প্যাকেট ফেলে আসে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়া জরুরী।
স/আর