মোহনপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক জৌষ্ঠতার ভিত্তিতে দায়িত্বভার গ্রহন করেন শেখ মনিরুল ইসলাম। দায়িত্বভার গ্রহন করার পর এবং গত ৫সেপ্টেম্বর তারিখে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ দায়িত্ব গ্রহন ও বিমুক্ত হওয়ার পর (ভারপ্রাপ্ত প্রধান) শিক্ষকের পদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অনিয়ম ও অভ্যন্তরীন জটিলতা দেখা দিতে থাকে।
আর এ জটিলতার জের ধরে শ্রেণী কক্ষে পাঠদান শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে,ফলে ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, স্বনামধন্য এই বিদ্যালয়ে উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী উপজেলা হতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অর্জনের জন্য আসে। কিন্তু ঠিকমতো পাঠদান ও আবাসিক ছাত্রাবাস না থাকার কারনে প্রতিনিয়ত হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে তারা। যার ফলে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা প্রায় ২ সপ্তাহ থেকে বিদ্যালয়ে শ্রেণী কক্ষে উপস্থিত হচ্ছে না বলে জানাগেছে ।
বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রাইভেট পড়ানোর প্রলোভন, শ্রেণীকক্ষে শিক্ষদের পাঠদানে অনীহার কারণে ব্যাহত হচ্ছে পড়াশোনা। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই স্কুলের ৬ষ্ট থেকে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষাথী দের প্রাইভেট পড়তে হচ্ছে।
শ্রেণী কক্ষে না পড়িয়ে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য বেশী ঝুঁকে পড়েছে শিক্ষকেরা। যার ফলে সকালে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট পড়ে বাড়ীতে চলে যায়। সকালে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের দেখে ছাত্র -ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দ্রুত রুম থেকে বেড়িয়ে যান শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার সমস্যার কথা বলেও কোন সমাধান পায়নি তারা। এই সমস্যাগুলির সুষ্ঠ সমাধানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ওই স্কুলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানির প্রকট সংকট রয়েছে, প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীদের পয়নিষ্কাকাশন সু-ব্যবস্থা না থাকায় এবং টয়লেট গুলো দুর্গন্ধ ও অপরিস্কার এবং টয়লেটে পানির ব্যবস্থা না থাকার ফলে চরম বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে টেলিফোনে বিদ্যালয় পরির্দশক লুৎফর রহমানের বিদ্যালয়ে বিষয়ে অবগত করা হলে তিনি জানান, সমস্যার বিষয়ে উপ-পরিচালক মহোদয় স্যারকে জানানো হবে।
স/শ