অভিষেকের আনন্দে বান্ধবীকে নিয়ে হোটেলে; পরিণামে দল থেকে বাদ

আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে ম্যাচ জয়ের দিনে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয়েছিল দুই তরুণ ফিল ফোডেন ও ম্যাসন গ্রিনউডের। ‘বিশেষ দিন’টি উদযাপন করতে করোনা-টরোনার কথা ভুলে বান্ধবীকে নিয়ে তারা চলে আসেন হোটেলে। রাতভর ফুর্তি করার পর সকালে এলো দুঃখের সংবাদটি। তাদের বিরুদ্ধে করোনা-সংক্রান্ত জৈব সুরক্ষার নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। দুজনেই বাদ পড়েছেন দল থেকে।

উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচ খেলতে ইংল্যান্ড দল চলে গেছে ডেনমার্কে। কিন্তু ফোডেন ও গ্রিনউডকে ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুজনকেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ঘটনা এতটুকু পর্যন্ত থাকলে হয়তো ঠিক ছিল। কিন্তু শোনা যাচ্ছে,  বিষয়টা নিয়ে পুলিশি তদন্ত হবে।  ম্যানচেস্টার সিটি ও ইউনাইটেডের এই দুই ফুটবলারের নাকি জরিমানাও করা হতে পারে। তবে দুজনেই এখন আক্ষেপে পুড়ছেন। ফোডেন ক্ষমা চেয়ে খোলা চিঠি লিখেছেন।

ঘটনার পর ফোডেন ও গ্রিনউডের ক্লাব আলাদা আলাদাভাবে বিবৃতি দিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। ২০ বছর বয়সী ফোডেনের ওপর অনেক আস্থা ছিল সাউথগেটের। মাঠের বাইরে সেই প্রতিদান তিনি দিতে পারেননি। চিঠিতে সেটা উল্লেখ করে ফোডেন লিখেছেন, ‘গ্যারেথ যখন এই ম্যাচটির জন্য আমাকে দলে ডেকেছেন তখন খুব গর্ব হয়েছিল। ইংল্যান্ড দলের জার্সি পরতে পারাটা আমার জন্য দারুণ এক ব্যাপার। আমি এখনো বয়সে তরুণ। অনেক কিছুই এখনো শেখার বাকি। আমি বাজে একটি কাজ করেছি।’

তিনি ক্লাবের কথা উল্লে করেও ক্ষমা চেয়েছেন, আইসল্যান্ডে আমার কাণ্ড নিয়ে যে খবর এসেছে সেটার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। (ইংল্যান্ড কোচ) গ্যারেথ সাউথগেটের কাছে ক্ষমা চাইছি আমি। ক্ষমা চাইছি আমার ইংল্যান্ড দলের সতীর্থ, স্টাফ, সমর্থক, ক্লাব আর পরিবারের কাছে। আমি কোভিড-১৯-এর নিয়ম ভেঙেছি। এর কারণ হিসেবে ডেনমার্ক যাওয়ার সুযোগটা হারিয়েছি। এর জন্য খারাপ লাগছে। এই ভুল থেকে আমি মূল্যবান শিক্ষা নেব। গ্যারেথ এবং তার দলের জন্য শুভকামনা রইল।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ