অবশেষে ঐতিহাসিক কূপটি দখল মুক্ত করল রেল কর্তৃপক্ষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট:
পত্রিকায় খবর প্রকাশের পরে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে রেলওয়ের সরকারি ব্রিটিশ শাসনামলের তৈরি সেই ঐতিহাসিক সচল কূপটি অবশেষে দখল মুক্ত করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই কূপটি আর সাবেক ক্ষমতাশীল নারী কাউন্সিলরের দখলে থাকছেনা।

মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের চাপে কূপটির চারপাশে ইট দিয়ে ঘেরাও করা অংশ ওই নারী কাউন্সিলর রোজী আক্তার নিজেই সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে শাখার আইডাব্লিউ নারায়ন প্রসাদ সরকার।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কূপটির চারপাশ দিয়ে ইট দিয়ে ঘেরাও করা অংশের ভাঙা ইটগুলো পড়ে আছে কুপটির চারপাশে। তবে কূপটির পাড় ভেঙে ফেলায় কূপটি এখন ঝূকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। যে কোন সময় ওই কূপে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানায ভাঙার আগে কূপটিতে ইটের তৈরি উচু পাড় ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুর রেল ষ্টেশন থেকে উত্তর দিকে ষ্টেশন রোডে পাশে রেলওয়ের কোলনীতে অবস্থিত ব্রিটিশ শাসনামলের তৈরি ঐতিহাসিক এই কূপ। স্থানীয়রা কূপটির পানি ব্যবহার করতেন। হঠাৎ করেই গত কয়েকদিন আগে আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক নারী কাউন্সিলর রোজী আক্তার ইট বালু এনে শ্রমিক লাগিয়ে কুপটির চার পাশ দিয়ে ইটদিয়ে ঘিরাও করে দখলে নিয়ে কূপটির ইটের তৈরি উচু পাড়টি ভেঙে ফেলেছিলেন এর পরে তিনি সেখানে লোহার দরজা লাগিয়ে তালা মেরে কূপটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এনিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে টনক লড়ে রেল কর্তৃপক্ষের। কূপটি দখল মুক্ত করতে গত সোমবার দুপুরে রেলওয়ের আইডাব্লিউ থেকে কয়েকজন শ্রমিক এসে কূপের চারপাশে ঘেরাও করা অংশের কয়েকটি ইট ভেঙে চলে যান। ওই দিন বিকেলে রেলওয়ের নিরাপত্তা শাখার সান্তাহার রেলওয়ের থানার (জিআরপি) কয়েকজন পুলিশ আসেন কূপটির কাছে। এসময় তারা ওই কূপ দখলকারী সাবেক নারী কাউন্সিলর রোজী আক্তারকে সময় বেধে দিয়ে যান, যে তিনি নিজে থেকে কূপের চারপাশের ইট দিয়ে ঘেরাও করা অংশ না ভেঙে ফেললে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে। এরপরে মঙ্গলবার সকালে ওই নারী কাউন্সিলর রোজী আক্তার কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে কূপ ঘেরাও করা অংশ ভেঙে ফেলেন।

সান্তাহার রেলওয়ের থানার (জিআরপি) ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, কূপটির চার পাশ দিয়ে ইট দিয়ে ঘেরাও করা অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আগে কূপটি সম্পূর্ণ দখল মুক্ত হবে তার পর ওই নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।

আক্কেলপুর রেল ষ্টেশনের সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার হাসিবুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার সকালে নিজে থেকে কাউন্সিলর রোজী আক্তার ওই কূপের ঘেরাও করা অংশ ভেঙে ফেলেছেন। তবে কূপটির পাড় ভেঙে ফেলায় কূপটি এখন ঝূকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অবিলম্বে কূপের পাড় নতুন করে তৈরি না করা হলে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

রেলওয়ের আইডাব্লিউ নারায়ন প্রসাদ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ইট দিয়ে ঘেরাও করা কূপটির চারপাশের অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

স/অ