নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চলমান বাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকায় স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলছেন ক্রেতারা। তবে সামনের সপ্তাহে দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায় রাজশাহীতে বিভিন্ন শাক সবজির দাম আগের মতই রয়েছে। তবে দু’একটি সবজির দাম কিছুটা উঠামানা হয়েছে। দাম কমে দেশি আলু ১৫-২০ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, সিম ১৫-২৫ টাকা, শশা ২৫-৩০ টাকা, বেগুন ১৫-২০ টাকা, টমেটো ১০-২০ টাকা, পেঁয়াজের ফুলকা ৮-১০ টাকা, গাজর ২০-২৫ টাকা, বাধাকপি প্রতি পিস ১০ টাকা, ধনে পাতা ৪০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে, মসলার মধ্যে আদা ১০০ টাকা, সকল ধরণের পেঁয়াজ ২০ টাকা, রসুন ৭০-১০০ টাকা, মরিচ ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বাজারে প্রায় সব ধরনের শাক বিক্রি হয়েছে ১৫-২০ টাকা দরে। ডালের মধ্যে বুট ডাল ৮০ টাকা, দেশি বুট ১০০ টাকা, এ্যাংকর ডাল ৪০ টাকা, মসুর ডাল ৫০-৬০ টাকা, দেশি মসুর ৮০ টাকা ও খেসারী ডাল ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও ভোজ্য তেলের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
দাম কমে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৮০-৯০ টাকা ও বোতলজাত ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। মাছের বাজারে রকমভেদে দাম উঠানামা করতে দেখা গেছে। বাজারে রকমভেদে সিলভার কার্প ৮০-১৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ৮০-১৪০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৫০০-১০০০ টাকা, বাটা ১২০-১৪০ টাকা, বড় শোল ৯০০ টাকা এবং ছোট শোল ২০০-৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও রুইয়ের ওজনভেদে প্রতি কেজি ১৬০-৩৫০ টাকা, শিং ৫০০-৮০০ টাকা ও ইলিশ ৫০০-৮০০ টাকা, কাতল ২৫০-৩৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ২০০ টাকা, কালবাউশ ২৫০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০-৮০০ টাকা, বাগাড় মাছ ৮০০ টাকা, আইড় ৪০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে মাংসের বাজারে গরু ৪৫০ টাকা, পোল্ট্রি ১৪০ টাকা, হাঁস ২৭০-২৮০ টাকা, লেয়ার ১৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে, খুচরা চাল ব্যবসায়ি আশিকুজ্জামন বলেন, প্রতি কেজি মিনিকেট ৫৫ টাকা, আটাশ ৪৫ টাকা, জিরাশাল ৫৫ টাকা, বাসমতি ৭৫ টাকা, পায়জাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮০ টাকা, স্বর্ণা ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, গুটিস্বর্ণা ৪০ টাকা, কালজিরা আতপ ৮০-৯০ টাকা, চিনিগুড়া আতপ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
স/অ