শনিবার , ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করতে হবে: নজরুল ইসলাম খান

Paris
অক্টোবর ১৯, ২০২৪ ৯:২৭ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি মহল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ফ্যাসিবাদের এই দোষরদের প্রতিহত করতে হবে। ফ্যাসিষ্ট হাসিনার পতন হলেও এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি। হাসিনার প্রেতাত্মারা গণঅভ্যুত্থানকে নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে, ফ্যাসিবাদ যেন আবার ফিরে আসতে না পরে এজন্য জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা সংস্কারে যৌক্তিক সময় দিতে প্রস্তুত তবে আপনাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করতে হবে।

শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ইসলামি রাজনীতির পথিকৃৎ, সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের ‘জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠনটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রেতাত্মারা প্রশাসনে এখনো বহাল তবিয়তে। দেশের জনগণ ফ্যাসিবাদের চিরতরে পতন চায়। স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা যাবে না। দীর্ঘদিনের অপশাসন থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে। আমাদের ঈমাদী দায়িত্ব হচ্ছে আর কোনো দিন যাতে এ ধরনের অপশাসন জনগণের কাঁধে চেপে বসতে না পারে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান ও মুফতি জাকির হোসাইন খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তান সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের (ভারত) নাজেম মাওলানা সাইয়েদ আজহার মাদানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউরোপ সভাপতি মুফতি আব্দুল হান্নান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি কারি আব্দুল খালিক আসআদী, যুক্তরাষ্ট্র জমিয়ত নেতা মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম জালালাবাদী।

ভিডিওবার্তায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস জাতির জন্য দরদী রাহবার ছিলেন। আমি তার দাওয়াতে বেশ করেকবার বাংলাদেশে গিয়েছি, তার আতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এ সময় তিনি ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছন। বাংলাদেশে জমিয়তের দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই মহান ব্যক্তির স্মরণ সভায় ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত।

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের (ভারত) নাজেম মাওলানা সাইয়েদ আজহার মাদানী ভিডিও বার্তায় বলেন, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস দারুল উলুম দেওবন্দের মুখপাত্র এবং বাংলাদেশের আলেম সমাজের মুকুট ছিলেন। তার মতো ব্যক্তিত্বশীল মানুষ পৃথিবীতে কম আসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা শায়খ আবদুর রহীম ইসলামাবাদী, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাবেক মন্ত্রী ও ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, জমিয়ত যুগ্মমহাসচিব মাওলানা রশিদ বিন ওয়াক্কাস, ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম, সৈয়দ এহসানুল হুদা ও জমিয়ত নেতা সৈয়দ তালহা আলম।

বক্তারা বলেন, মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস ছিলেন দূরদর্শী আলেম ও রাজনীতিবিদ। তার তাক্বওয়া, খোদাভিরুতা, ইখলাস ছিল পরিপূর্ণ। তিনি ছিলেন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়বান মানুষ। এ যুগে তার মত খোদাভীরু মানুষের দৃষ্টান্ত বিরল।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরিকে সভাপতি, মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদীকে নির্বাহী সভাপতি, মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরামকে মহাসচিব, মুফতি জাকির হোসাইন খানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২০২৪-২০২৭ তিন বছর মেয়াদি ১২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

প্রসঙ্গত, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস (রহ.) ২০২১ সালের ৩১ মার্চ রাজধানীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি তিন ছেলে ও চার মেয়ে সন্তানের জনক।

মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস এরশাদ সরকারের ধর্ম ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। যশোর-৫ আসন থেকে তিনি কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দেশের শীর্ষ আলেম হিসেবেও পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি, হাইয়াতুল উলইয়ার কো-চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - রাজনীতি