অধিনায়ক বদলালেও ভাগ্য বদলাতে পারেনি কলকাতা (ভিডিও)

মরুরাজ্যে এবারের আইপিএলে দলগত লড়াইয়ের মাঝেও পয়েন্ট টেবিলের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে দিল্লি ক্যাপিট্যালস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মধ্যে চলছে লড়াই চলছে। একদিন দিল্লিকে দ্বিতীয় স্থানে টেনে নামায় মুম্বাই অন্যদিন মুম্বাইকে নামিয়ে শীর্ষে ওঠে দিল্লি।

 

শুক্রবার রাতে কলকাতাকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফের দিল্লিকে হটিয়ে শীর্ষে উঠল মুম্বাই।

এদিন শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জেতে ব্যাটিং নেন কলকাতার নতুন অধিনায়ক ইয়ন মরগান।

তবে নতুন নেতৃত্বে ভালো পারফর্ম করতে পারেনি কেকেআরের ব্যাটসম্যানরা। মুম্বাইয়ের বোলারদের তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে কলকাতার।

প্যাট কামিন্স ছাড়া বোল্ট-বুমরাদের কাছে কলকাতার আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেনি। দুই অংকে যেতে পারেননি রাহুল ত্রিপাথি (৭), নিতিশ রানা (৫) ও দীনেশ কার্তিক (৪)। দলের এ সময়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান শুভমান গিলও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৩ বলে ২১ রান করে রাহুল চাহারের ঘূর্ণিতে আউট হয়ে ফেরেন।

মাত্র ৪২ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানকে হারায় কলকাতা। রাহুল চাহারের পরপর দুই বলে শুভমান ও কার্তিক আউট হলে তার হ্যাটট্রিক থেকে বঞ্চিত করেন আন্দ্রে রাসেল। যদিও ৯ বলের বেশি টেকেনি রাসেল। মাত্র ১২ রান করেই বুমরার বলে আউট হন তিনি।

একমাত্র কামিন্স ও অধিনায়ক মরগানের ব্যাট থেকে আসে উল্লেখযোগ্য দুটি ইনিংস। দুজন মিলে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৫৬ বলে ৮৭ রান তুললে কেকেআরের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৪৮ রান।

কামিন্স ৩৬ বলে ৫৩ রানে ও মরগান ২৯ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। মুম্বাইয়ের পক্ষে সফল বোলার ছিলেন রাহুল চাহার। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া ট্রেন্ট বোল্ট, নাথান কাউল্টার নিল এবং ট্রেন্ট বোল্ট নেন ১টি করে উইকেট।

মাত্র দেড়শ রানেরও কম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই জয় নিশ্চিত করে ফেলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। ওপেনিং জুটি মাত্র ১০.৩ ওভারে ৯৪ রান করেন। শেষের ৫৭ বলে বাকি থাকে আর মাত্র ৫৫ রান।

৩৬ বলে ৩৫ রান করেন শিভাম মাভির বলে আউট হন রোহিত। ৪৪ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত এক অপরাজিত ইনিংস খেলেন ডিক কক। রোহিতের পর সুর্যকুমার যাদব নেমে ১০ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

তবে চার নম্বরে নামা হার্দিক পান্ডিয়া আর ডি কক মিলে বাকি কাজটা সারেন। তৃতীয় জুটিতে কারা ২০ বলে ৩৮ যোগ করলে ৩.১ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুম্বাই।

 

সূত্রঃ যুগান্তর