অদম্য সংকল্প, ভীষণ জেদে জয় হলো সিরাজের

গত বছর ২০ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজে পারফর্ম করার জন্য সিরাজ তখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঠিক সেই সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার অটোচালক বাবা মোহাম্মদ ঘাউস হঠাৎ মারা যান। তবুও থেমে থাকেননি ২৬ বছরের যুবক। বরং মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আজ ভারতের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে সিরাজের ৫ উইকেটের অবদান কম নয়। এই সিরাজ গত দুই টেস্টে ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরাহ, উমেশ যাদবের অভাব বুঝতে দেননি।

কিন্তু দুর্ভাগ্য তার বাবা ছোট ছেলের ক্রিকেটীয় উত্থান দেখে যেতে পারেননি। চলতি ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩ রানে ৫ উইকেট। ক্লাব ক্রিকেট হোক কিংবা আন্তর্জাতিক মঞ্চ। ৫ উইকেট নেওয়া একজন বোলারের স্বপ্ন। এর মধ্যে আবার প্রথম ইনিংসের পঞ্চম বলেই ডেভিড ওয়ার্নারকে বিষাক্ত আউট সুইঙ্গারে ফেরানো। তার এমন ভয়ঙ্কর বোলিং দেখে আপ্লুত খোদ শচীন টেন্ডুলকার। কিন্তু দুর্ভাগ্য সিরাজের ‘ব্রেস্ট ফ্রেন্ড’ মোহাম্মদ ঘাউস আর নেই।

সিরাজের বড় ভাই ইসমাইল আবেগপ্রবণ হয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত দেড় মাস আমরা প্রতিটা দিন খুব কষ্টের মধ্যে কাটিয়েছি। প্রত্যেকবার ভিডিও কলে কথা বলার সময় ভাই শুধু কেঁদেছে। বাবাকে নিয়েই কথা বলে যেত। সে যাতে খোলা মনে খেলতে পারে সেইজন্য মা একবারও তার সামনে কাঁদেনি। বরং তাকে ভরসা দিত। এতদিনে তার সুফল পাওয়া গেল। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাবা তার সাফল্য দেখতে পারল না। এটা যে কত বড় কষ্ট সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ