অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন বানরের ওপর প্রয়োগে আংশিক সফল

অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বানরের ওপর প্রয়োগ করে আংশিক সফলতা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ছয়টি বানরের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়েছে। কিছু বানরকে এক ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এতে ১৪ দিনের মধ্যে কিছু বানর কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি করতে পেরেছিল আর বাকিরা ২৮ দিনের মধ্যে এটি তৈরি করেছিল।

এতে বলা হয়, ভাইরাসটির উচ্চমাত্রার ডোজ প্রয়োগে দেখা গেছে, মনে হয়েছে ভ্যাকসিনটি তাদের ফুসফুসকে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করেছিল, তবে তাদের নাক নয়।

বলা হচ্ছে, ওই গবেষণার ফলাফলগুলো এখনো অন্য বিজ্ঞানীদের দ্বারা নিখুতভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি। তবে

লক্ষণগুলো আশাব্যঞ্জক উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক করে বলা হয়েছে, ল্যাবগুলোতে বানরের ওপর কাজ করা অনেকগুলো ভ্যাকসিন মানুষকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ফার্মাকোপিডিমিওলজিস্ট স্টিফেন ইভান্সকে উদ্ধৃত করে বলছে, নতুন তথ্য অবশ্যই ভালো সংবাদ ছিল। তবে গবেষণায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো প্রমাণ ছিল না, তিনি যোগ করেন।

তিনি বলেন, সার্স-কোভ-২ এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটির নির্দিষ্ট তাত্ত্বিক বিষয় উদ্বেগের ছিল। উৎসাহের জন্য গবেষণায় কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

গত মাসে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছে, তারা ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকারের সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য টিম গঠন করে কাজ করছে।

প্রায় একই সময়ে ব্রিটিশ গবেষকরা ছোট পর্যায়ে মানবদেহে ভ্যাকসিন পরীক্ষা শুরু করে। তারা বলেছিল, ১৩ মের মধ্যে এক হাজার মানুষকে তারা ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসবেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং চীনের গবেষণা কেন্দ্রীভূত করে এই মুহূর্তে বিশ্বে ১০০টির বেশি ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, একটি কার্যক্ষম টিকা তৈরি করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগে যেতে পারে। তবে মহামারীটি সারা বিশ্ব জুড়ে যে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে, তাতে বিশ্বব্যাপী নজিরবিহীন প্রচেষ্টার ফলে দ্রুত ব্যবহারের জন্য এ বছরের মধ্যেই ভ্যাকসিন উদ্ভাবন হতে পারে।

সূত্র: আনাদলু