রাবি প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ৭৫ থেকে পরবর্তী ৬ বছরে এই দেশকে একটি উগ্র মৌলবাদী দেশে পরিণত করেন জিয়াউর রহমান। তিনি তোয়াবকে ও একাত্তরের খুনি গোলাম আজমকেও বাংলাদেশে আসার ব্যবস্থা করেন এবং নাগরিকত্বের বিষয়টিও দেখেন। অপরাজনীতির মাধ্যমে দেশকে ইসলামীকরণের ফলে ছাত্রলীগের বহু নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
মঙ্গলবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মতই তার কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনও এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টেও নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর ভাগ্যক্রমে বেচে যান শেখ হাসিনা। জিয়াউর রহমানের সময়ে কারফিউয়ের যে রাজনীতি শুরু হয়েছিল পরবর্তী ৫ বছর এই রাজনীতি ছিল। এইরকম একটি ভয়াবহ রাজনীতি যেখানে মিটিং মিছিল করা যেত না। অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলা যেত না। সাম্যের কথা বলা যেত না। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে স্লোগান দেওয়া যেত না।
রাসিক মেয়র বলেন, ৮১ সালের কাউন্সিলে দলের নেতৃত্ব নিয়ে ঝামেলা চলছিল। তখন নেতারা বলছিল শেখ হাসিনা তো পার্শবর্তী দেশ ভারতেই আছেন। তিনিই হতে পারেন আমাদের ঐক্যের প্রতীক। যেই কথা সেই কাজ। দেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল দিল্লিতে গেলেন নেত্রীর সাথে কথা হলো এবং তিনি রাজী হলেন। দিন তারিখ ঠিক হলো ১৭ মে। ওইদিন ইন্ডিয়ান এয়ারলাইসের একটি বিমানে তিনি দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকায় অবতরণ করেন। বিমান থেকে তাকে একটি ট্রাকে তোলা হয়।
মেয়র বলেন, বিমানবন্দর থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ যেতে ট্রাকটির লেগেছিল প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা। জনতার এত ভীড় ছিল। ঠিক যেমনটা ঘটেছিল বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়। তাঁর এই পথ অতিক্রম করতে সময় লেগেছিল সাড়ে ৪ ঘণ্টার মত। পিতা পুত্রীর মধ্যে কত মিল!
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম। সভায় উপস্থিত ছিলেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবাইদুর রহমান প্রামানিক, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, ছাত্র-উপদেষ্টা তারেক নূরসহ বিভিন্ন অনুষদের ডীন, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় সভাপতি প্রমুখ।
সভার শুরুতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এর আগে সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
জি/আর