সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবারের অতি বর্ষণ ও আগামী ৭২ ঘণ্টা এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়ছে। এ জন্য এমনটি মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর ও উত্তরা-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ১৫ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদীসংলগ্ন কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও বগুড়া জেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণাধীন ৯০টি স্থানের মধ্যে শুক্রবার ৫৫টির বৃদ্ধি এবং ৩১টি স্টেশনের পানি হ্রাস পায়।
তবে কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীর সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল সুনামগঞ্জের সব পয়েন্টে পানি কমলেও সুরমা নদীতে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, শুক্রবার সারা দেশে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তা আগামীকাল রোববার ও পরদিন সোমবার অব্যাহত থাকতে পারে। এই অবস্থায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সূত্র:রাইজিংবিডি