নিজস্ব প্রতিবেদক:
রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মেরিন আক্তার সিমু ওরফে জান্নাত (২০) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকালের দিকে বোয়ালিয়া থানার বেতপট্টি এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া নারী মেরিনা আক্তার সিমু দুর্গাপুর উপজেলার চককৃষপুর পানানগর এলাকার মৃত মোজ্জামেল হকের কন্যা ও নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের মার্কেটিং- এর অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে এক যুবক ওই নারীর স্বামী পরিচয় দিয়েছেন। তার নাম তুহিন। বাসা নগরীর শাহমখদুম থানার কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প¦ার্শবর্তী। তুহিন বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী।
তুহিনের কাছ থেকে পাওয়া কাবিননামায় উল্লেখ আছে, জান্নাতের নাম মেরিন আক্তার সিমু ও বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার চককৃষপুর পানানগর এলাকা। আর তুহিনের নাম দেয়া আছে, সিফাইতুল ইসলাম। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার সদশিবপুর এলাকা। পিতার নাম সাইফুল ইসলাম।
তুহিন কালের কণ্ঠকে জানান, জান্নাত তার বিবাহিত স্ত্রী। গত ২৬ স্বেপ্টেম্বর কোর্টের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার স্ত্রী তাকে তালাক দেন। যার কাগজ তিনি গত শুক্রবার (২১ অক্টোবর) পেয়েছেন। শনিবার দুপুরে তার স্ত্রী ফোন করলে তিনি ওই বাড়িতে আসেন এবং তাকে দেখে তার স্ত্রী দরজা লাগিয়ে দেন। এসময় তিনি মেরিনার পাশের ঘরের লোকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। কিন্তু তখন জান্নাত গলায় ফাঁস দেন বলে দাবি তার। পরে তুহিন জানালা দিয়ে তা দেখতে পেয়ে দৌঁড়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের স্টেশন অফিসার লতিফুর বারীর নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছেন। পরে তারা দরজা ভেঙ্গে মেরিনার লাশ উদ্ধার করেন। এরপর বোয়ালিয়া থানা লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
লাশ উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মেরিনার স্বামী তুহিনকে আমরা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছি। আমরা জানতে পেরেছি, ওই মেয়ের এর আগে আরেকবার বিয়ে হয়েছিলো। তুহিন ছিলো দ্বিতীয় স্বামী। তাকেও তালাক দিয়েছে। তাদের বিয়ে পরিবারের সবাই জানতো।
ওসি বলেন, আমরা ছেলে-মেয়ের পরিবারকে থানায় আসতে বলেছি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
জি/আর