সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের ভ্যাকসিন ক্রয় ও ব্যবস্থাপনায় ২৩ হাজার কোটি টাকার গরমিল বিষয়ে তদন্ত চায় বিএনপি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর আজ বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এই দাবি জানান।
রিজভী বলেন, ‘ভ্যাকসিন ক্রয় এবং ব্যবস্থাপনার নামে নিশিরাতের সরকার রাষ্ট্রের তথা জনগণের ২৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। প্রাক্কলিত ব্যয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রদত্ত হিসাবের অর্ধেকেরও কম।
দেশের জনগণ এই ২৩ হাজার কোটি টাকা কারা লুটপাট করল তার হিসাব চায়। বিরোধী দলের নেতাদের হয়রানির জন্য ওত পেতে থাকা দুদককে বলব তদন্ত করে ২৩ হাজার কোটি টাকার হিসাব বের করুন। এসব নজিরবিহীন দুর্নীতির হিসাব জনগণকে দিতেই হবে। ‘
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিএনপি নেতা বলেন, প্রতিটি সেক্টরে পিলে চমকানো বড় বড় দুর্নীতির খবর বের হলেও আজ পর্যন্ত কোনো দুর্নীতির বিচার হয়নি। বরং দুর্নীতি এবং দুর্নীতিবাজদের বাঁচানো এই সরকারের ‘বিরল গুণ’। এরা দুর্নীতিকে জায়েজ করতে জাতীয় সংসদে পর্যন্ত দায়মুক্তির আইন পাস করেছে। ২০২১ সালের বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া, দুর্নীতির দায়মুক্তি এবং বিচারহীনতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
তারেক রহমানের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল ১/১১ সরকারের আমলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এই মামলাটি করা হয়েছিল। জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্য বানোয়াট, কাল্পনিক ও অসত্য মামলা দায়েরের ধারাবাহিকতারই অংশ হিসেবে এই মামলা করা হয়েছিল। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগসহ মহাদুর্নীতির তেলেসমাতি আজ দেশ-বিদেশে সবার মুখে মুখে। এই মুহূর্তে মামলাটি জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানোর অপচেষ্টা মাত্র।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ