বর এসেছেন ভাড়া করা হেলিকপ্টারে চড়ে। আবার বিয়ে শেষে তাতে করে কনেকে নিয়ে গেলেন নিজের বাড়িতে। এই হেলিকপ্টার উঠানামা দেখতে স্থানীয় জনতার ব্যাপক ভিড় জমে। উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার যশোরের চৌগাছা উপজেলার পাতিবিলা গ্রামে। কনে ওই গ্রামের ঠিকাদার রফিকুল ইসলামের মেয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক তাসমিয়া খাতুন। আর বর ঝিকরগাছার বাসিন্দা ডাক্তার মুজাহিদ।
শুক্রবার দুপরে উপজেলার পাতিবিলা গ্রামে বর আসবেন হেলিকপ্টারে- এ সংবাদে স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহের সৃষ্টি হয়। তারা বেলা ১১টা থেকেই হেলিকপ্টার দেখতে পাতিবিলা হাজী শাহাজান আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ভিড় করেন। স্থানীয়দের অপেক্ষার প্রহর শেষে দুপুরে একটি ভাড়া করা হেলিকপ্টারে করে বর এসে নামেন। এরপর একটি জিপ গাড়িতে কনের বাড়িতে নেওয়া হয় তাকে। বিয়ের দাওয়াতে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামের এক বৃদ্ধ বলেন, আমরা তো আর পেলেন (বিমান/হেলিকপ্টার) উঠানামা দেখতি পারিনে, তাই কীভাবে নামে দেখার জন্য দাঁড়িয়ে আছি।
এসআই নূর উন নবী সাংবাদিকদের বলেন, হেলিকপ্টারে বর আসবেন দেখে উৎসুক জনতার ভিড় হতে পারে। এজন্য ওসির নির্দেশে বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। গ্রামের উৎসাহী মানুষ হেলিকপ্টারে বর আসা দেখতে এসেছেন। কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।
এদিকে হেলিকপ্টার দেখতে আসা জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। চৌগাছা থানার এসআই নূর উন নবীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান নেন। পরে এসআই বাচ্চু মিয়াসহ আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে যোগ দেন। হেলিকপ্টারটি বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে উৎসুক জনতা সেদিকে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সূত্রঃ যুগান্তর