বুধবার , ৬ জুলাই ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

হাসনাতের হিজবুত কানেকশন, নর্থ-সাউথকে দুষলেন বাবা রেজাউল

Paris
জুলাই ৬, ২০১৬ ২:৪০ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গুলশানকাণ্ডে এখন আলোচিত নাম হাসনাত রেজা করিম। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এই সাবেক শিক্ষককে সন্দেহের তালিকায় নিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে আর্টিজানে তার মুভমেন্ট নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক।

এই হাসনাত করিমকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী দল হিযবুত তাহরীরের পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটি থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন বলে খবর এসেছে। ২০১২ সালে আরো তিনজন শিক্ষকের সঙ্গে তাকেও এই কারণে অব্যহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তবে সে অভিযোগ কেন পুলিশ কিংবা তার পরিবারের কাছে আসেনি- এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাসনাত রেজার বাবা রেজাউল করিম।

Rezaul-Karim-inner20160706135938

তিনি বলেন, প্রায় চার বছর আগে যে অভিযোগ নর্থ সাউথে এসেছিল, সে অভিযোগ আজ আমি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখছি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা আমাকে বা আমাদের পরিবারকে জানায়নি। এমনকি পুলিশকেও জানায়নি।

খানিকটা অভিযোগের সূরে তিনি বলেন, “আমি মনে করি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি পুলিশকে না জানিয়ে ভূল করেছে। আমি বা আমার পরিবার জানলে তখনই অ্যাকশন নিতাম।”

তবে ছেলের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ বা এমন কোন কিছুর সঙ্গে জড়িত থাকলে তার আচরণে সেটা প্রকাশ পেত। কিন্তু আমার বা আমার পরিবারের কাছে হাসনাতের কোন আচরণই সন্দেহজনক মনে হয়নি।

তাছাড়া ‘এ ধরনের কেসে’ কেউ বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে যায় না উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, “তার (হাসনাত) যদি এ ধরনের ইচ্ছে থাকত বা সে যদি জড়িত থাকত; একাই যেত, পরিবার নিয়ে যেত না। কারণ এমন পরিস্থিতিতে তার পরিবারের সদস্যরা ক্রস ফায়ারে মারা যেতে পারত।”

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফেসবুকের ভিডিওটি আমিও দেখেছি। সেখানে আমার ছেলের যে মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে, সেটা গানপয়েন্টে (অস্ত্রের মুখে) হয়েছে।

ঘটনার পর থেকেই হলি আর্টিজান বেকারিতে আটকে থাকা ছেলে হাসনাত রেজা করিম ও তার পরিবারের অপেক্ষায় ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন রেজাউল করিম দম্পতি।

পুলিশি অভিযানের সকালে একে একে নিরাপদে বের হয়ে আসে হাসনাত পরিবারের সদস্যরা।

সেই সময়ের কথা স্মরণ করে রেজাউল করিম বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম, ওদেরকে পুলিশ বের করে এনেছে। পরে জানতে পারি তারা আগেই বের হয়েছে।  পূত্রবধূ শারমিনের কাছে জানতে পেরেছি- আমার ছেলেকে দিয়ে তারা (জঙ্গিরা) দরজা খুলিয়েছে। তাদেরকে ‘যাও’ বলে বের হওয়ার পারমিশন দিয়েছে। এরপরেই পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।”
পরে হাসনাত ও তার পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বাকি সদস্যদের ছাড়লেও হাসনাত রেজা বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। ছেলের সঙ্গে শুরুর দিকে যোগাযোগ থাকলেও গত দু’তিন দিন কোন যোগাযোগ নেই বলে জানালেন বাবা রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, “আমরা গত দুই তিন দিন কথা বলতে পারি না। আগে কয়েকবার কথা বলেছি।”

তবে ছেলের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ তদন্ত করা প্রয়োজন মনে করেন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়া এই পিতা। তিনি বলেন, “পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হোক, তারপর দেখা করব। এর মধ্যে আমরা কথা বলে তাতে বিঘ্ন ঘটাতে চাই না।” তদন্ত শেষে তার ছেলে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলেই আশা করেন তিনি।

হাসনাত রেজার দুই মেয়ে। এদেরই একজনের জন্মদিন উদযাপন করতে সপরিবারে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত সাবেক এই শিক্ষক।

দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়েটি এখনো ট্রমা’র মধ্যে রয়েছে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, ছোটটি এখনো অনেক ছোট হওয়ায় সে কিছুটা স্বাভাবিক।

সূত্র: বাংলানিউজ

সর্বশেষ - জাতীয়