সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
হার্টের সমস্যা গুরুতর হওয়ার আগেই সমাধান করা সম্ভব। পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কারণ নারীদের হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলো সাধারণত ছোট হয়।
প্ল্যাক, কোলেস্টেরল দিয়ে তৈরি চর্বিযুক্ত পদার্থ নারীদের ধমনীতে ভিন্নভাবে গঠিত হয়। যে কারণে চুপি চুপি ছোট ছোট ব্লক তৈরি করে। এই ব্লকগুলো সহজেই লক্ষ্য করা কঠিন হয়ে যায়।
ভারতের বেঙ্গালুরুর সাকরা ওয়ার্ল্ড হাসপাতালের কার্ডিওলজি ডিরেক্টর ডা. শ্রীকান্ত শেঠি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সন্তান জন্ম দেওয়া এবং স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা গ্রহণের কারণে অনেক সময় নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
নারীদের মধ্যে কোন কোন হৃদরোগ দেখা দিতে পারে
মাইক্রোভাসকুলার হৃদরোগ: ছোট রক্তনালীগুলোকে প্রভাবিত করে। এ অবস্থার জন্য নারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
স্পনটেনিয়াস করোনারি আর্টারি ডিসেকশন: একটি গুরুতর অবস্থা, যেখানে একটি করোনারি ধমনীতে গিয়ে ছিঁড়ে যায়, এই রোগ নারীদের বেশি হয়।
স্ট্রেস থেকে হার্ট ফেইলিউর: একটি অস্থায়ী হার্টের অবস্থা, প্রায়ই গুরুতর মানসিক চাপের কারণে দেখা যায়।
অটোইমিউন রোগের প্রভাব: এটিও নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা: এ ধরনের কিছু চিকিৎসা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
নারীদের জন্য হার্টের রোগ প্রতিরোধের কার্যকর কৌশল
স্বাস্থ্যকর ডায়েট: শস্য, ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। চিনিযুক্ত এবং প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে পাঁচবার অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য ব্যায়াম করতে থাকুন।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: স্ট্রেস ম্যানেজ করার চেষ্টা করুন, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
নিয়মিত চেকআপ: সম্ভাব্য সমস্যাগুলো তাড়াতাড়ি ধরে ফেলার জন্য রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের জন্য নিয়মিত চেকআপ করুন।
সূত্র: যুগান্তর