নিজস্ব প্রতিবেদক:
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশ নামে একটি ভূখন্ড রচিত হয়েছে। তাঁর ঘোষণার মধ্যে দিয়েই বাংলার সকল স্তরের জনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন। দীর্ঘ ৯মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই স্বাধীন রাষ্ট্র রক্ষায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জীবন দিতে পারে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু বর্তমান সরকার গণতন্ত্র ধ্বংশ করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালী পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, রাসিক সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারী এই সরকার পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করেছে। কিন্তু এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ মানে না। এই অবৈধ সরকার আইনশৃংখলা বাহিনীকে দিয়ে জোর করে নির্বাচন করার পাঁয়তারা করেছে। পৃথিবীর কোন দেশে ডেমি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করার নজির নেই। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার নিজের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে এই পন্থা অবলম্বন করেছে। এই নির্বাচন কোনভাবেই এ দেশের মানুষ নেবে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি কারো চোখ রাঙ্গানীতে ভয় পায় না। বিএনপি মাঠে ছিলো, মাঠে আছে, জীবন থাকা পর্যন্ত মাঠে থাকবে। তিনি অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে বাতিল করে নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনে বাধ্য করার আন্দোলনে সবাই এক সাথে আন্দোলন করার আহ্বান জানান।
আলোচনা শেষে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে একটি বিজয় মিছিল বের হয়ে সোনাাদিঘী মোড় ও পরে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট পদক্ষিণ করে নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এরআগে, রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে দিনব্যাপী মহান বিজয় দিবসের নানান কর্মসূচি পালন করা হয়। বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১মিনিটে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনানে নেতাকর্মীরা পুস্পার্ঘ্য অর্পন করেন। এরপর সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এবিকেলে বিজয় র্যালি করা হয়।
বিজয় মিছিল পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য সাবেক এমপি এডভোকেট নাদিম মোস্তফা, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ^নাথ সরকার, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপি’র সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, গোলাম মোস্তফা মামুন, রাজশাহী মহানগর জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আকতার হোসেন।
এছাড়াও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম কুসুম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক আল-আমিন সরকার টিটু, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রওশন আরা পপি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রোমেনা হোসেন, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখি, সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন, এডাভোকেট পারভেজ তৌফিক জাহেদী, রইসুল ইসলাম, জমসেদ আলী, আশরাফ আলী মাসুম, তারেক হোসেন, সিফাত জেরিন তুলি ও রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকিসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।