যশোরের অভয়নগরে স্বামী উজ্জ্বল শিকদারের বিরুদ্ধে নিজ স্ত্রীকে যৌনকর্মী হিসেবে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উজ্জ্বল শিকদারের বিরুদ্ধে যশোরে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী ছালমা খাতুন।
আসামি উজ্জ্বল শিকদারের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে অভয়নগর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল-১ (যশোর জেলা ও দায়রা জজ)-এর বিজ্ঞ বিচারক টি এম মুসা।
মামলার বাদী ছালমা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, আট বছর আগে অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামের মালেক শিকদারের ছেলে উজ্জ্বল শিকদারের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। উপার্জন বাড়াতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে এবং উজ্জ্বলকে ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ২০১৮ সালে স্বামী উজ্জ্বল শিকদার আমাকে ফুসলিয়ে বিনা পাসপোর্টে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে ভারতে নিয়ে যান।
তিনি আরো বলেন, প্রায় দুই বছর ভারতের রাজস্থান এলাকায় থাকার পর গত ২ ফেব্রুয়ারি উজ্জ্বল আমাকে নিয়ে ব্যাঙ্গালোর শহরে চলে আসেন। ওই দিন ব্যাঙ্গালোর অসকোট পতিতালয়ে আমাকে বিক্রি করে তিনি পালিয়ে যান। দীর্ঘ ২৩ দিন পতিতালয়ে মানবেতর জীবন-যাপন শেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এক দারোয়ানের সহযোগিতায় চোরাই পথে বেনাপোল হলে দেশে ফিরে আসি। উজ্জ্বল ও তাঁর ভাই অনেক মেয়েকে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ করে বিদেশে পাচার করে অর্থ উপার্জন করেন বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহামুদুর রহমান মোল্যা জানান, বর্তমানে উজ্জ্বল শিকদার তাঁর বাবা-মা ও ভাইদের নিয়ে ইছামতি বাজারে বসবাস করছে। প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে বহিরাগত অনেক নারী-পুরুষকে আনাগোনা করতে দেখা যায়।
এব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম জানান, যশোর আদালত কর্তৃক মানব পাচার অপরাধ ও দমন আইনের ২০১২-এর ৬,৭ ও ৮ ধারায় মামলার আসামি উজ্জ্বল শিকদারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া হবে। করোনা পরিস্থিতর কারণে বিলম্ব হচ্ছে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ