তানোর প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোরে সাথী বেগম (২২) নামে এক গৃহবধুকে পা-হাত বেধে রেখে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারলো তার পাষন্ড স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার বেলা ১২টার দিকে তানোর উপজেলা কলমা ইউনিয়নের দিয়াড়া নটিপাড়া গ্রামে। এঘটনায় সাথীর পিতা শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে তানোর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মৃত সাথীর স্বামী আয়াতউল্লাকে (২৮) পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
সাথীর পিতা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে সাথীর তিন বছরের একটি ছেলে ও পাঁচ মাসের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমার জামাই আয়াতউল্লার মেয়ের সঙ্গে পরোকিয়া করতো। বিষয়টি নিয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে জামায়ের প্রায় দ্বন্দ্ব হতো। বিষয়টি আমাকেও বলেছে। আমি জামাইকে অনেক বুঝিয়েছি কোন কাজ হয়নি। জামায়ের পরোকিয়ায় বাধা দেয়ার কারণে বুধবার বেলা ১২ টার দিকে আমার মেয়েকে বাড়ির ভেতরে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বেধে রেখে গায়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
আমার মেয়ের চিৎকার করলে গ্রামের লোকজন এসে দেখে বাড়ির মধ্যে থেকে লাগানো রয়েছে। গ্রামের লোকজন বাড়ির দেয়ার টপকে গিয়ে দেখে আমার মেয়ের শরীরের আগুন জ¦লছে। আর আমার জামাই পাশে দাড়িয়ে দেখছে। লোকজন আমার মেয়ের শরীরে পানি দিয়ে আগুন নিভাই।
কলমা ইউনিয়নের বিট পুলিশিং এর দায়িত্বে থাকা (এসআই) জাহাঙ্গীর বলেন, ঘটনা স্থল তদন্ত করে জানতে পেরেছি, আয়াতউল্ল্ার সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের পরোকিয়া চলছিলো। আয়াতউল্ল্ার স্ত্রী সাথী বেগম বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামীকে পরোকিয়ায় বাধা দেয়ার কারণে তার স্বামী তার শরীরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। গোটা শরীর পুড়ে গেছে। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বিষয়টি থানায় জানিয়ে সাথীকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সাথীকে ঢাকা হাসপাতালের বার্ড ইউনিটে নিয়ে যাবার পথে তার মৃত্যু হয়।
তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, স্বামীর পরোকীয়ায় বাধা দেয়ার কারণে ওই গৃহবধুর গায়ে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়ে মেরেছে। তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ রামেকের মর্গে পাঠানো হয়েছে।