সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘সোয়া ১২ কোটি ভোটারের তথ্যভান্ডার: নিয়ন্ত্রণ ঠিকাদারের হাতে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের ছবিসহ ভোটার তালিকায় নাম আছে সোয়া ১২ কোটি নাগরিকের।
এই ভোটারদের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তথ্যভান্ডার বা ডেটা সেন্টার গড়ে তুললেও এখন সেই সার্ভারের প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ এখন আর ইসির হাতে নেই।
এর নিয়ন্ত্রণ এখন বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটির হাতে। ডেটা সেন্টারের ক্রেডেনসিয়াল, সোর্স কোড, নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম, সিস্টেম আর্কিটেকচারসহ সবকিছুই ওই প্রতিষ্ঠান এবং এর সহযোগী আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার নামের প্রতিষ্ঠানের কাছে।
নিয়ন্ত্রণ না পাওয়া পর্যন্ত ডেটাবেজের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে চিন্তায় আছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন।গত ৫ই অগাস্ট সরকার পতনের এক মাসের মাথায় পদত্যাগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার।
এরপর প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে টাইগার আইটি ও আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা। তবে অনিষ্পন্ন অবস্থায় ওই বৈঠকটি শেষ হয়েছিল।
কারণ বৈঠকে কিছু কিছু সফটওয়্যারের সোর্স কোড ‘নিজস্ব বুদ্ধিভিত্তিক উদ্ভাবিত সম্পদ’ (ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি) উল্লেখ করে তা ইসিকে হস্তান্তরে আপত্তি জানান প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে টাইগার আইটির পরিচালক বলেন, ডেটাবেজের স্কেমা, এপিআই-এর সোর্স কোড, ক্রেডেনসিয়াল, প্রতিটি মডিউল বা ফাংশনের অ্যালগরিদমসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ইসিকে বুঝিয়ে দেব।
তবে অটোমেটিক বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন (এবিআইএস) সিস্টেমের কোর ম্যাচিং অ্যালগরিদম টাইগার আইটির নিজস্ব উদ্ভাবন হওয়ায় এর সোর্স কোড দেওয়া হবে না বলে তিনি জানান।
নির্বাচন কমিশন সচিবের দাবি, সোর্স কোড ডেটা সেন্টারের চাবির মতো। ঘরের চাবি অন্যের কাছে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।
সংবাদের প্রধান শিরোনাম, ‘সামাজিক নিরাপত্তা: তালিকা পর্যালোচনার আগে আর ভাতা ছাড় নয়’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দেয়া ভাতার ৪১ শতাংশ সঠিক ব্যক্তিরা পাচ্ছেন না বলে দাবি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদের। এজন্য তালিকা পর্যালোচনার আগে ভাতা ছাড় করা হবে না বলে তিনি জানান।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রথম বয়স্ক ভাতা চালু হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ভাতা ও চালু হয় এবং উপকারভোগীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে যে প্রকৃত হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের স্বজনদের তা বিতরণ করা হচ্ছে।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উপকার ভোগীর তালিকায় প্রতি দশ জনের মধ্যে চারজনই ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।মূলত ইউনিসেফের একটি জরিপ প্রতিবেদন থেকেই তিনি জানতে পারেন যে উপকারভোগীদের মধ্যে ৪১ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ।
তিনি বলেন, “ত্রুটিগুলো আমাদের খতিয়ে দেখার চেষ্টা করতে হবে জলদি করে শুধু দিয়ে দিলে হবে না যাকে দিতে চাচ্ছি সে পাচ্ছে কিনা সেটা আমাদের বুঝতে হবে”।
কয়েক মাস ধরে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীভাতা সহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা বন্ধ আছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, নগদের বিষয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে এটা আমরা পরিবীক্ষণের মধ্যে রাখছি।
সারা দেশে বর্তমানে এক কোটি ২০ লাখ উপকারী রয়েছে এর মধ্যে যারা বয়স্ক ও বিধবা ভাতা পান তারা মাসে ৫০০ টাকা এবং প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীরা মাসে ৮৫০ টাকা পান। এই অর্থ তাদের মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে সরাসরি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘ঞযড়ঁংধহফং রহ ংযবষঃবৎং ধং ভষধংয ভষড়ড়ফ ড়িৎংবহং’ অর্থাৎ, ‘আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা পানির কারণে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
পানির প্রবাহে নদীগুলো উত্তাল হয়ে ওঠে এবং এর প্রভাবে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলার অর্ধডজন স্থানের বন্যা রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে পড়ে।
রোববার এই আকস্মিক বন্যা ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এমন অবস্থায় হাজার হাজার মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। ওই বিভাগের মানুষ গত তিন দিন ধরে বন্যার কবলে ধুকছে।
হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গিয়েছে। অসংখ্য বাড়িঘর ও রাস্তার বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাছের খামারও ভেসে গেছে।
বন্যার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্টসহ নানা কারণে আরও তিনজনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। এ নিয়ে বন্যার কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছয় জনে গিয়ে ঠেকেছে।
অন্যদিকে শেরপুরের উপকূলে ভেসে যাওয়া একটি লাশ ভারত থেকে আসা পানির ধাক্কায় বাংলাদেশে বয়ে এসেছে ধারণা করা হচ্ছে।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত দৈনিক দুর্যোগ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ২০ হাজার মানুষ শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলায় সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে এবং আরও এক লাখ ২৫ হাজার ২৪০টি পরিবার আটকা পড়েছে।
চলমান আকস্মিক বন্যায় স্থানীয় বয়স্করা বেশ স্তম্ভিত। তারা তাদের জীবদ্দশায় এমন বন্যা দেখেননি বলে জানিয়েছেন।
ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ের ১১ জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার আর্থিক পরিমাণ ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা ৪৬ লাখ টাকা।
জেলা হিসেবে নোয়াখালীতে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। তবে সরকারি উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি ত্রাণ গিয়েছে ফেনীতে। ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে নোয়াখালীর পরেই রয়েছে কুমিল্লার অবস্থান।
রোববার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) তাদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায়।
তাদের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ৩৫ ভাগ ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও অবকাঠামো খাতে।
সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, যা জিডিপির দশমিক ২৬ শতাংশ।
এর মধ্যে কৃষি ও বন খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে, যার পরিমাণ পাঁচ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা।
সিপিডির আরেক গবেষক মুনতাসির কামাল জানান, অনেক এলাকায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ত্রাণ গিয়েছে বিশেষ করে উপজেলার কাছাকাছি যারা ছিল এরকম অনেকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ত্রাণ পেয়েছে।
পরে আবার তারা সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। অনেক এলাকায় নগদ সহায়তা দেয়া হয়েছে কিন্তু সেখানে প্রয়োজন ছিল খাবারের। কোনো ব্যক্তি একাধিকবার ত্রাণ পেয়েছেন, আবার অনেকেই পাননি।সূত্র: বিবিসি বাংলা