সোমবার , ২৯ জুলাই ২০২৪ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে

Paris
জুলাই ২৯, ২০২৪ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

 

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটারজুড়ে গড়ে উঠেছে সুন্দরবন। যার বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার, অর্থাৎ ৬০ শতাংশ বাংলাদেশে। সুন্দরবনজুড়ে খাল-বিল, নদী ও শ্বাসমূল থাকায় বাঘের চলাচলের জন্য কিছুটা অসুবিধাজনক। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল। তাই বাঘ সংরক্ষণে সুন্দরবনে উঁচু টিলা নির্মাণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দুর্যোগের বিষয়টি মাথায় রেখে মিঠাপানির পুকুর খনন ও পুকুরের চারপাশে উঁচু পাড় দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘ গণনায় কার্যক্রমে এবার সাড়ে ৭ হাজার ছবি পাওয়া গেছে। প্রতিটি বাঘের সঙ্গে ছবি মিলিয়ে ইউনিকভাবে নির্ণয় করতে হচ্ছে। এগুলো পর্যালোচনা করে বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করা হবে।

জানা গেছে, বাঘের আনাগোনা বেশি এমন ১২টি স্থানে মাটি দিয়ে উঁচু করে টিলা নির্মাণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে টিলার পাশে খনন করা হচ্ছে পুকুর। জলোচ্ছ্বাস বা বন্যার সময় যাতে বন্য প্রাণীগুলো উঁচু টিলায় আশ্রয় নিয়ে মিঠাপানি পান করতে পারে। সুন্দরবনের চাঁদপাই, শরণখোলা, খুলনা ও সাতক্ষীরা

রেঞ্জের প্রতিটিতে ৩টি করে মোট ১২টি বাঘের টিলা নির্মাণ করা হয়েছে। বন কর্মকর্তারা জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় এবং উঁচু জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের ভেতরে কোথাও তিন-চার ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বনের মধ্যে প্রাণীদের অসুবিধা হয়। উঁচু টিলা নির্মাণ হলে প্রাণীরা নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করতে পারবে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকার সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পের দুটি অংশের একটি বাঘ জরিপ ও অন্যটি বাঘ সংরক্ষণ। প্রকল্পের বাঘ সংরক্ষণ অংশে ১২টি টিলা নির্মাণ, ৫ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া, ২টি বাঘের শরীরে স্যাটেলাইট ট্র্যাকার লাগানো, জিপিএস, বাঘ অজ্ঞানের জন্য ট্রাঙ্কুলাইজিং গান, ক্যামেরা, ভিটিআরটি ও সিপিজি সদস্যদের জন্য পোশাক ক্রয় ও প্রশিক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কার্যক্রম রয়েছে। ২০২৫ সালের মার্চে শেষ হওয়ার কথা।

বন অধিদপ্তরের বণ্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন, এবারের বাঘ দিবসের আগেই সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা প্রকাশ করার কথা ছিল। তবে সাম্প্রতিক ইন্টারনেট জটিলতায় কাজটি সম্পন্ন করা যায়নি। এবার গণনার সময় অনেক ছবি পাওয়া গেছে। ধারণা করা যাচ্ছে বাঘের সংখ্যা বাড়বে।

এদিকে বিশ্ব বাঘ দিবস আজ। এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি, সুন্দর বনের সমৃদ্ধি’। বাঘ দিবস উপলক্ষে আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো কার্মসূচি নেওয়া হয়নি।

২০১৫ সালে এক শুমারিতে দেখা গিয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কমে ১০৬-এ নেমেছে। ২০০৪ সালে বাঘ ছিল ৪৪০টি। বাঘের সংখ্যা কমে এক-চতুর্থাংশেরও কম হয়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছিল কর্তৃপক্ষ। নেওয়া হয়েছিল বাঘ-শিকার রোধ, বাঘের বিচরণভূমি বাড়ানোসহ বেশ কিছু উদ্যোগ। ২০১৮ সালের শুমারিতে ছিল ১১৪টি বাঘ।

 

 

সর্বশেষ - জাতীয়