রবিবার , ২২ জানুয়ারি ২০১৭ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সাদা-কালোর বিতর্কে থেমেছিল যে দুরন্ত যাত্রা

Paris
জানুয়ারি ২২, ২০১৭ ১০:২১ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

চার টেস্টে দুটি সেঞ্চুরিসহ ৫০৮ রান। গড়টাও রীতিমতো অবিশ্বাস্য। ৭২.৫৭! সবচেয়ে বড় কথা চারটি টেস্টেই জয় পায় তাঁর দল। একটা সময় তাঁকেই ডন ব্র্যাডম্যানের উত্তরসূরী মনে করা হচ্ছিল। তবে বর্ণবৈষম্যের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হওয়ায় অকালেই থেমে যায় ব্যারি রিচার্ডসের সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার। আজকের এই দিনেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন দুর্ভাগা এই ক্রিকেটার।

 

বলা হয় সফলতার সঙ্গে নাকি ভাগ্যের গভীর সম্পর্ক আছে। খেলার মাঠে ভাগ্যের জোরে জীবন পেয়ে রানের পাহাড় গড়েছেন অনেকে, কিন্তু ‘ভাগ্য বিড়ম্বনায়’ দুর্দান্ত ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গেছে এমন অভাগা ক্রিকেটারের সংখ্যাও কম নয়। আর তাঁদের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই সামনের সারিতে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যারি রিচার্ডসের নাম।

 

১৯৪৫ সালের ২১ জুলাই ডারবানের নাটাল প্রদেশে জন্মেছিলেন রিচার্ডস। স্কুল জীবন থেকেই ঝোঁক ছিল ক্রিকেটের প্রতি। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কুল দলে। পরে দক্ষিণ আফ্রিকা তরুণ একাদশের হয়েও খেলেন তিনি। সেখানে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে যোগ দেন জাতীয় দলে।

 

১৯৭০ সালের ২২ জানুয়ারি রিচার্ডস প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। সেটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। প্রথম ম্যাচে নিষ্প্রভ হয়েই ছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই হাসতে থাকে ব্যারির ব্যাট। নিজের জন্মস্থান ডারবানে খেলেন শতরানের ইনিংস। পরের দুটি টেস্টেও দেখান দারুণ নৈপুণ্য। চার ইনিংসে করেন দুটি অর্ধশতক ও একটি শতক।

 

চার ম্যাচের সেই টেস্ট সিরিজের চারটিতেই জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সেখানে বিশাল ভূমিকা ছিল রিচার্ডসের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন এক নক্ষত্র দেখা যাচ্ছে, সেই সময় এমনটাই বলেছিলেন অনেকে। কিন্তু কে জানত, আর কোনোদিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেখাই যাবে না এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যানকে!

 

সে বছরই বর্ণবাদের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। আর ক্রিকেটের এই কালো অধ্যায়ে চিরতরে হারিয়ে যান ব্যারি অ্যান্ডারসন রিচার্ডস।

 

তবে ভাগ্যের কাছে পরাজিত ব্যারি রিচার্ডসের খেলোয়াড়ি জীবন ছিল দারুণ বর্ণিল। প্রথম শ্রেণির লম্বা ক্যারিয়ারে তিনি খেলেছেন ৩৩৯টি ম্যাচ। ৫৪.৭৪ গড় রানে করেছেন ২৮ হাজার ৩৫৮ রান। যার মধ্যে আছে ৮০টি সেঞ্চুরি আর ১৫২টি হাফ সেঞ্চুরি। এরমধ্যে এমন নয়টি সেঞ্চুরি আছে যেগুলো রিচার্ডস করেছিলেন মধ্যাহ্নবিরতির আগেই! এ ছাড়া সর্বোচ্চ ৩৫৬ রানের এক অবিশ্বাস্য ইনিংস তাঁর থেকে পেয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব।

 

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে গেলেও রিচার্ডস পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। ১৯৬৮ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটারের খ্যাতি দেয়। এ ছাড়া ২০০৯ সালে আইসিসির হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত  হয় রিচার্ডসের নাম।

 

তবে ক্রিকেট মাঠ থেকে বিদায় নিলেও ক্রিকেট ছেড়ে থাকতে পারেননি এই ব্যাটিং তারকা। ১৯৮৪ সালে অবসরের পর কমেন্ট্রি বক্সেই বেশি সময় কেটেছে তাঁর। ধারাভাষ্যকার হিসেবেও পেয়েছেন সুখ্যাতি।

সূত্র: এনটিভি

সর্বশেষ - খেলা