সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
টেস্ট ক্রিকেটে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কম নয়। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম ভেন্যুতে ঐতিহাসিক জয়ের দেখা পেয়েছে টাইগাররা।
ব্যক্তিগত ণৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা। বছরের শেষদিকে এসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তাদের চোখে বর্ষসেরা একাদশ তুলে ধরছে। জনপ্রিয় ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের বর্ষসেরা টেস্ট একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। বছরের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়েছিলেন সাকিব ও মুশফিক। দুই জন মিলে ৩৫৯ রানের জুটি গড়েন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২১৭ রানের ইনিংস উপহার দেন সাকিব। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৫৯।
সাকিবের ওই ইনিংসটিকে গুরুত্ব দিলেও গার্ডিয়ানের দৃষ্টিতে তার বর্ষসেরা পারফরম্যান্স এসেছে ঢাকায় অজিদের বিপক্ষে। ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৮৪ রান ও দুই ইনিংসেই পাঁচ উইকেট নিয়ে বীরের বেশে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। এ বছর টেস্টে ৪৭.৫ গড়ে ৬৬৫ রান করেছেন সাকিব। উইকেট ২৯টি। বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্কদের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ অলরাউন্ডার হিসেবে নেওয়া হয়েছে সাকিবকে। বর্ষসেরা টেস্ট টিমের উইকেটরক্ষক মুশফিক। কিপিং গ্লাভসের চেয়ে ব্যাট হাতেই মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ডিপেন্ডেবল।
দেশের হয়ে সাদা পোশাকে বছরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক মুশফিক। ৫৪.৭১ গড়ে ৭৬৬। ওয়েলিংটনে চমৎকার ব্যাটিংয়ের পর ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টেস্টে ১২৭ রান করেছিলেন। শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের জয়ে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন। উইকেটকিপিংয়ে ১২টি ক্যাচ নিয়েছেন। স্প্যাম্পিং করেছেন ২টি।
নতুন বছরেও সাকিব-মুশফিকের এমন পারফরম্যান্স অব্যাহত থাকবে সেই প্রত্যাশা সবার। টেস্ট অধিনায়কত্ব এখন সাকিবের কাঁধে। বছরের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ব্যর্থতার পর মুশফিককে ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিসিবির ব্যাখ্যা, দলের সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান মুশফিককে আরও স্বাধীনতা দিতেই এই সিদ্ধান্ত। যেন নিজের খেলায় আরও মনোযোগী হতে পারেন।