সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
হাঁটু ব্যথা শুধু ক্ষয়জনিত রোগেই নয়, বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন- রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, সোরিয়েটিক আথ্রাইটিস, এনকাই-লজিং স্পন্ডাই-লাইটিস, এসএলই ইত্যাদি। তবে সবচেয়ে বেশি হাঁটু ব্যথা সাধারণত অস্থিক্ষয়ের জন্যই হয়ে থাকে। জোড়ার ভেতর আঠালো এক ধরনের পদার্থ থাকে, যা জোড়াকে নড়াচড়া করতে সহজ করে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে এই তরল পদার্থ শুকিয়ে গেলেও এই রোগ দেখা দেয়।
এ সমস্যা একদিনে তৈরি হয় না। অস্বাভাবিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার ফলে আস্তে আস্তে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রাথমিক পর্যায়ে হালকা গরম হওয়া, ফুলে যাওয়া, ব্যথা হওয়া শুরু হয় এবং পরবর্তীতে হাঁটু নড়াচড়া করলে প্রচুর ব্যথা হয়। রোগীর নামাজ পড়তে, টয়লেট ব্যবহার করতে এবং দৈনন্দিন কাজ করতে অসুবিধা হয়।
এভাবে চলতে থাকলে কর্মক্ষমতা হারিয়ে হাঁটা-চলা বন্ধ হয়ে যায়। হাড় ও জোড়ার অন্যান্য রোগে, খেলাধুলার সময় ভুল অবস্থানের জন্য হাঁটুতে আঘাত পেলে বা মচকালে অনেক সময় কোমরের অসুবিধার জন্য হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। তরুণদের তুলনায় বয়স্কদের হাঁটু ব্যথা বেশি হয় এবং মহিলাদের সাধারণত ৪০ বছরের পর ঋতুচক্র বন্ধ হলে হরমোনের তারতম্যের জন্য অস্থির কণিকা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ফলে এই রোগ দেখা দিতে পারে।
লেখক: ফিজিওথেরাপি, ডিজএবিলিটিস ও রিহেবিলিটেশন স্পেশালিস্ট কনসালটেন্ট, ডিপিআরসি।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন